প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩ ১৬:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৩ ১৭:২৬ পিএম
ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়ে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় ব্যাবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারীরা। সিরিজে এখন ৩-১ এ এগিয়ে পাকিস্তান।
রাজশাহীতে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন আদিল বিন সিদ্দিক। এরপর ১৮ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার মাজাহারুল ইসলামও। বেশিদূর টানতে পারেননি টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার জিসান আলমও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান।
এরপর অধিনায়ক পিয়ানকে নিয়ে জুটি গড়েন আরিফুল ইসলাম। পিয়ান ২৭ রানে ফেরার পরপরই ফিরে যান শিহাব। এরপর মাহফুজুর রাব্বিকে নিয়ে ফিফটি তোলেন আরিফুল। তার পরই ফিরে যান তিনি। শেষ দিকে রাব্বিকে নিয়ে বাংলাদেশকে শক্ত ভিত গড়ে দিতে লড়ছিলেন জীবন। ৩৪ রানে রাব্বি ফেরার পর ক্ষীণ হয়ে যায় সেই সম্ভাবনাটুকুও। পরে একাই ব্যাট চালাচ্ছিলেন জীবন। ৩০ রানে থামতে হয়েছে তাকেও। সেই সঙ্গে ৪৬. ৪ ওভারে দলীয় ১৯৯ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আইমাল খান ও আলি আসফান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান। কোনো ঝুঁকি ছাড়ায় দলীয় দেড়শ পার করে পাকিস্তান। দলীয় ১৫২ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৯১ বলে ৫২ রান করে মাহফুজুর রাব্বির বলে কাটা পড়েন আজান আউআইচ। এরপর দ্রুতই ফিরেন শ্যামল হোসাইন। তবে ততক্ষণে জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছে পাকিস্তান। এরপর আর কোনো আঘাত আসতে দেননি সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া শাহাজাইব খান। মির্জা সাদকে নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন শাহাজাইব খান। জয়ের পথে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০৫ বলে ৩ ছয় ও ১৪ চারে ১০৫ রানে। অপর দিকে ১৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন মির্জা।