পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল

পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে স্বাগতিকরা ম্যাচ জিতেছে ২৪ ওভার ও ৪ উইকেট হাতে রেখে। তাতে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধান।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে এদিন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অল্প পুঁজিতে আটকে রাখার পর ব্যাটিংয়েও দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর ধীরে ধীরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ওপর চড়াও হয় পাকিস্তানি বোলাররা। দলীয় ১০০ রানের আগেই তুলে নেয় ৪ টপ অর্ডার ব্যাটারকে। তবে লক্ষ্যটা ছোট হওয়ায় খুব একটা বিপদে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। ৬ উইকেট হারানোর পর দলকে বিপদ মুক্ত করে জয় উপহার দেন মাহফুজুর রাব্বি ও পারভেজ জীবন। 

এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ২ রানে পাকিস্তান ওপেনার আজান ও ৩ রানে আরেক ওপেনার শাহজাইব খানকে ফেরায় বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েও দলকে সুবিধা জনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি আরিফ ও শ্যামল। 

পাকিস্তান অধিনায়ক মির্জা স্বাদ লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন কিছুটা। তবে ৩৫ রানে ফিরতে হয়েছে তাকেও। এরপর আলিকে নিয়ে দলকে মাঝারি মানের ভিত গড়ে দিতে লড়ছিলেন আরাফাত। কিন্তু জিসানের বলে ২৮ রানে থামতে হয়েছে তাকেও। যার ফলে শঙ্কা ঝেঁকেছিল পাকিস্তানের দেড়শ পার করা নিয়ে। শেষ দিকে আলির ব্যাটে চড়ে দেড়শ পেরোয় পাকিস্তান। ভালোই লড়ছিলেন তিনি। তবে তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেনি আইমাল খান। ৪ রান করে তিনি ফিরলে ৪১.৩ ওভারে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। আলি অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে পাকিস্তানের তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন রোহানাত দৌলত ও ইমন। দুই উইকেট শিকার করেছেন জীবন।

জবাবে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনেদেন দুই ওপেনার আদিল ও মাজাহারুল। দলীয় ৫৯ রানে ফিরে যান দু’জনেই। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন আদিল বিন সিদ্দিক। এরপর ফিরে যান মাজাহারুল ইসলামও। আমিরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ২৫ বলে ২১ রান করেন তিনি। এরপর জিসানকে নিয়ে টানছিলেন আরিফুল। দলীয় ৯১ রানে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফিরে যান তিনিও। খানিক পর জিসানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান আইমাল খান। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৪ রান করে। 

এরপর শিহাবকে নিয়ে লড়ছিলেন পিয়ান। তবে পিয়ান টানতে পারেননি বেশিদূর ৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর বাংলাদেশকে জয়ের খুব কাছে রেখে ২৭ রানে ফিরে যান শিহাবও। জয়ের পথে বাকি পথটুকুতে আর কোনো ঝুঁকি আসতে দেননি রাব্বি ও জীবন। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যাটারদের দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন আইমাল ও আরাফাত।