প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৫৭ এএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:০১ এএম
বছরের শেষদিকে ভারতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কেমন হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল? ওই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেটপাড়ায়। দল কেমন হবে সেই উত্তর না মিললেও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন স্পষ্ট করেছেন বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গা দেখেন না। কেন রিয়াদকে বিশ্বকাপ দলে দেখছেন না সেটাও পরিষ্কার করেছেন। সুজন কোনো রাখঢাক না রাখলেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য লুকোচুরি করছেন। এখনও রিয়াদের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা দেখেন।
আরও পড়ুন : রিঙ্কুর বিয়েতে নাচবেন শাহরুখ
গতকাল মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সেখানেই জানান, জাতীয় দলের পুলে থাকা সবাই নজরে আছেন। সেখানে আছে রিয়াদের নামও। রিয়াদকে নিয়ে তাই আশার বাণী শোনান নান্নু, ‘১ জন না ২৪ জন খেলোয়াড়ের পুল করা আছে। এখানে যারা আছে সবাইকে বিশ্বকাপের জন্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
রিয়াদের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোটায় সেটা স্পষ্ট করেছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তার কথার ওই সত্যতা মিলবে আসন্ন এশিয়া কাপের আগে। তখনই নিশ্চিত করে ফেলা হবে বিশ্বকাপের দল। এশিয়া কাপের আগে বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত হবে সেটা আবারও জানিয়ে নান্নুর ভাষ্য, ‘এখন এত বেশি খেলা, ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারটা অনেক বেশি চিন্তার কারণ। সেইভাবে আমরা এগোচ্ছি। আশা করছি, একের পর এক সিরিজ দেখে এশিয়া কাপের আগে বিশ্বকাপের জন্য পুল তৈরি করতে চাই।’
রিয়াদের না থাকার শঙ্কার মধ্যেই নতুন অনেকের জন্য তৈরি হয়েছে আশা। আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মোহাম্মদ নাঈম শেখরা ডিপিএলে দারুণ খেলছেন। তাদেরকে বিশ্বকাপ দলে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকছে না। কারণ, তাদেরকেও বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা ২৪ ক্রিকেটারের পুলে রেখেছেন নির্বাচকরা। সেটাও স্পষ্ট নান্নুর কথায়, ‘আফিফ অবশ্যই (পুলভুক্ত)। নাঈম শেখ অবশ্যই ভালো করছে। এদেরকে ভালো করে মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের পুলের যে ২৪ জন খেলোয়াড় আছে সেটার মধ্যে অবশ্যই সে (নাঈম) থাকবে।’
নাঈম সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ঘরের মাঠে ২০২১ সালের মে’তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর আর ওয়ানডে ক্রিকেটে সুযোগ পাননি। এ ছাড়া সবশেষ গত বছর এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েন। ঢাকা লিগে দুর্দান্ত ফর্ম তার জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলতেও পারে। একই অবস্থায় আছেন আফিফ হোসেন ধ্রুবও। জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে ঢাকা লিগে দারুণ ছন্দে আছেন তারা।
এইদিকে ঘরের বাইরে বছরের প্রথম সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে আইরিশদের বিপক্ষে ওই সিরিজকে চ্যালেঞ্জিং মানছেন নান্নু। কন্ডিশনের কারণে চ্যালেঞ্জ মানলেও ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার কারণে দল সেরা ক্রিকেট খেলবে বলে মনে করেন নান্নু, ‘অনেক চ্যালেঞ্জিং সিরিজ। আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশন অনেক কঠিন। আমার মনে হয়, ক্রিকেটাররা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা আছে। আশা করছি, যতই চ্যালেঞ্জ হোক, সেরা ক্রিকেটটাই খেলবে।’
জাতীয় দলের ব্যস্ততার মাঝে ঘরোয়া ক্রিকেটও চলবে সমানতালে। পাশাপাশি ‘এ’ দলের সিরিজ ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ব্যস্ততাও আছে। সেদিকেও নজর রাখছেন নির্বাচকরা। ‘এ’ দল ও এইচপির ক্রিকেটার বাছাইয়ে নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলের দৃষ্টি থাকবে ডিপিএলেও। জাতীয় দলের জন্য নতুন ক্রিকেটার তুলে আনার কাজটাও করবেন।
এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিপিএল আমরা সব সময় পর্যবেক্ষণ করে থাকি, সামনে আমাদের ‘এ’ দলের সিরিজ আছে। খেলোয়াড়দের আমরা ওইভাবেই পর্যবেক্ষণ করছি। এইচপির দলও আমরা তৈরি করছি।’ ডিপিএল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিরিজ শেষেই ইমার্জিং এশিয়া কাপে খেলবে। দুটোই বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা, ‘এখানে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ) তরুণ ও অভিজ্ঞ মিলিয়ে দল তৈরি করছি। যেটা আমাদের লাল বলের ক্রিকেটের জন্য জরুরি। সামনের জুনে ইমার্জিং এশিয়া কাপ আছে। সেই হিসাবে অনেক ক্রিকেটারকে এখানে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, এই দুইটা সিরিজ থেকেই জাতীয় দলের ভালো কিছু প্লেয়ার পাব।’