প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫১ পিএম
১২০ মিনিট তুমুল লড়াই করেও ব্রাইটন বাধা ডিঙাতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের পুরোটা সময় রেড ডেভিলদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে ব্রাইটন। ভাগ্য নির্ধারক টাইব্রেকারে যাওয়ার আগে তাই শঙ্কা ছিল টেন হাগের চোখেমুখে। আবার না ইউরোপা লিগের মতো এফএ কাপেও শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় রেড ডেভিলদের। তবে শেষ পর্যন্ত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন টেন হাগ। টানা ছয় শট পর ভুল করলেন ব্রাইটনের সলি মার্শ। সপ্তম শট জালে জড়িয়ে রেড ডেভিলদের জয় নিশ্চিত করেন ভিক্তর লিন্ডেলফ। ৭-৬ গোলের রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টি শট জয়ে এফএ কাপের ফাইনালে পা রাখে টেন হাগের ইউনাইটেড। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় ম্যানচেস্টার ডার্বির। আগামী ৩ জুন এফএ কাপের ফাইনালে শিরোপার জন্য লড়বে দুই নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি।
ওয়েম্বলিতে এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই মিলছিল রোমাঞ্চের আভাস। ম্যাচের সাত মিনিটে আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ঠেকান ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়া। এরপর খেলায় ফেরে ইউনাইটেড। ১৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোলের উদ্দেশ্যে শট নিলেও তাকে নিরাশ করেন ব্রাইটন গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ। ১৭ মিনিটে ফের ফার্নান্দেজকে হতাশ হতে হয়। আক্রমণে ইউনাইটেড রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছে ব্রাইটনও। যদিও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত গোল। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই হয়েছে পাল্লা দিয়ে। ৫৬ মিনিটে ইউনাইটেডকে দারুণ দক্ষতায় নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন দি হেয়া। এরপর হেডে গোল করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্রাইটনের ড্যানি ওয়েলবেক। ৬০ মিনিটে সলি মার্শকে হতাশ করেন দি হেয়া। চার মিনিট পর আন্তনিকে রুখে দেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। এরপর দুই দলই রক্ষণ সামলানোয় মনোযোগ দেওয়ায় সুযোগও তৈরি হচ্ছিল কম। ৮৩ মিনিটে আবারও ইউনাইটেডের ত্রাতা দি হেয়া। এবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্শের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক। এরপর দুই দল চেষ্টা করেও নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে।
সেখানেও একই ফল দেখলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকে। যেখানে ৭-৬ গোলের জয়ে ফাইনালে পা রাখে টেন হাগের দল। এ দিন বল দখলের খেলায় রেড ডেভিলদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ব্রাইটন। ইউনাইটেডের ৩৯ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে ৬১ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছে ব্রাইটন। গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েছে মোট ১৩টি। যার মধ্যে পাঁচটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ইউনাইটেডের নেওয়া ১১টি শটের মধ্যে ছয়টিই ছিল লক্ষ্যে।
কষ্টার্জিত জয় পেলেও ১৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ম্যানচেস্টার ডার্বি নিশ্চিত হওয়ায় বেশ রোমাঞ্চিত টেন হাগ। ফাইনালে মাঠে নামার আগে গার্দিওলার সিটিকে দিয়ে রেখেছেন হুংকার। তিনি বলেন, ‘জেতার জন্য আমরা সবকিছু উজাড় করে দেব। আমি যখন বলি সবকিছু, তখন সেটা একশ ভাগের বেশি। সমর্থকরা এ কথার ওপর আস্থা রাখতে পারে। আমরা শতভাগ দিতে চাই সিটির বিপক্ষে। আমরা সমর্থকদের জন্য এটা করতে চাই। আমাদের নিখুঁত ম্যাচ খেলতে হবে। তবে সবার আগে আমাদের আরও কিছু ম্যাচকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ লিগে আমাদের শীর্ষ চারেও জায়গা করে নিতে হবে।’