প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০১ এএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০৪ এএম
কিংবদন্তি বাবা শচীন টেন্ডুলকারকে দেখেই ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগ। এরপর ক্রিকেটে পা রাখা। একটু একটু করে এগিয়ে চলা। সুযোগ ছিল বাবার পরিচয় কাজে লাগিয়ে তড়িঘড়ি করে ক্রিকেটে নামার। সে পথে হাঁটেননি তিনি।
আরও পড়ুন : গরমে ডিপিএল এগিয়ে আনার ভাবনায় সিসিডিএম
ক্রিকেটের সঠিক ব্যাকরণের দীক্ষা নিতে বাবার বন্ধুদের দ্বারস্থ হয়েছেন। যখনই কারও সঙ্গে দেখা হয়েছে, শিখতে চেষ্টা করেছেন তার খেলা সেরা শট কিংবা বাউন্সার। এরপর মাঠে নেমে কঠোর অনুশীলন করে নিজেকে একটু একটু করে প্রস্তুত করেছেন।
অনুশীলনের কঠিন পরীক্ষায় পাস করেই তিন বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন টেন্ডুলকারপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে নেমেছিলেন ২৩ বছর বয়সি বাঁহাতি এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
২০২১ সালেই বাবার সাবেক দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ছিলেন অর্জুন। কিন্তু সেবার মাঠে নামা হয়নি তার। পরেরবারও একই কাজ। দলের সঙ্গে থাকলেও এক ম্যাচের জন্য মাঠে নামানো হয়নি তাকে। ২০২৩ আইপিএলের আগে অবশ্য রঞ্জি ট্রফিতে বাজিমাত করেছিলেন অর্জুন।
বাবার মতো অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বিজয় হাজারে ট্রফিতে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেট শিকারি হয়েছেন অর্জুন। সাত ম্যাচে ৩২.৩৭ গড়ে শিকার করেছেন ৮ উইকেট।
এ ছাড়া সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে গোয়ার হয়ে সাত ম্যাচে ৫.৬৯ ইকোনমি রেটে ১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তাই অনুমেয় ছিল- এবারের আইপিএলে হতাশ হতে হবে না তাকে। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে এসে অভিষেক হয়েছে শচীনপুত্রের, যা আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার। আইপিএলের প্রথম পিতা-পুত্রের জুটি এখন তারা, যারা উভয়েই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাঠে নেমেছেন। শচীন শেষবার ২০১৩ সালে আইপিএল খেলেছেন।
তবে অভিষেক ম্যাচে পারফরম্যান্সে নজর কাড়তে পারেননি অর্জুন। কলকাতার বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারে ৫ রান খরচ করলেও তৃতীয় ওভারে এসে খরচ করেছেন ১৩ রান। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান খরচ করায় তাকে আর বোলিংয়ে আনেনি এ ম্যাচের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এদিন আগে ব্যাট করে লিটনবিহীন কলকাতা ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে মুম্বাইকে ১৮৬ রানের টার্গেট ছুড়ে।
জবাব দিতে নেমে মুম্বাইকে দারুণ শুরু এনে দেন রোহিত ও ঈশান কিষান। দলীয় ৬৫ রানে রোহিতের বিদায়ের পর সূর্যকে নিয়ে লক্ষ্যে ছোটেন কিষান। ২৫ বলে ৫৮ রানে কিষানের আউটের পর তিলক ভার্মাকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন সূর্য। তিলক ৩০ রানে ফেরার পর সূর্য ফেরেন ৪৩ রানে।
টিম ডেভিড বাকি কাজটুকু সারেন দায়িত্ব নিয়ে। তার ২৪ রানে ভর করে ১৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্ধরে পৌঁছায় মুম্বাই। টুর্নামেন্টে এটি মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে ৮ নম্বরে উঠেছে দলটি।