এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাই
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০০:২৭ এএম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৪৫ এএম
ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহের মতো সময়ও বাকি নেই। ঠিক এই সময় আর সবাই যখন ব্যস্ত ঈদের প্রস্তুতি নিতে, তখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলের ব্যস্ততাটা খানিকটা আলাদা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার তোড়জোড় চলছে এখন ক্যাম্পে। ঈদের সময়ও এই ব্যস্ততাটা কমবে না, বরং রমজান ৩০ দিনে শেষ হলে ঈদের রাতেই ঢাকা ছাড়বে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল।
আরও পড়ুন : বিজয়-আফিফে খুশি সুজন
দলের অধিনায়ক রুমা এবারই প্রথমবারের মতো ঈদ পালন করবেন পরিবারের বাইরে। বাফুফের ক্যাম্পে ঈদ উদযাপনে খানিকটা দুঃখ আছে তার মনে। তবে সেটা ম্লান হয়ে যাচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাওয়ার রোমাঞ্চের কাছে।
অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়কের কথা, ‘ঈদ হচ্ছে আর আমি বাবা-মায়ের কাছে নেই, এমন এবারই প্রথম হচ্ছে। তাতে একটু দুঃখ আছে। তবে পাশাপাশি আনন্দও আছে, রোমাঞ্চ আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাওয়ার। এটাই বেশি কাজ করছে।’
এই দলটাই মার্চে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে দেশের মাটিতে। তখন মুখোমুখি হতে হয়েছে রাশিয়া, ভারতের মতো দলের বিপক্ষে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই এবার এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সিঙ্গাপুরের মাটিতে এই বাছাইপর্ব শুরু হবে ২৬ এপ্রিল থেকে, চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ‘ডি’ গ্রুপে গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল খেলবে স্বাগতিক সিঙ্গাপুর ও তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। বাছাইপর্বের প্রথম পর্ব এটি, পরের পর্বে যেতে হলে হতে হবে গ্রুপের সেরা দল। তবেই মিলবে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট। কোনো রকম হিসাব-নিকাশ থেকে দূরে থাকতে জিততে হবে দুটো ম্যাচেই।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি সে আশাতেই বুক বাঁধছেন। বললেন, ‘আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার লক্ষ্য নিয়েই সিঙ্গাপুর যাচ্ছি। সাফে শেষ কিছুদিনে আমাদের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। সেখানে কিন্তু ইউরোপের দলও ছিল। তাদের বিপক্ষেও আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের দল অভিজ্ঞতার দিক থেকে পিছিয়ে নেই।’ দলটির কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনও আশা দেখছেন দল নিয়ে। জানালেন, সাফের অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চায় তার দল।
সাফে একেবারে নিষ্কলুষ ফুটবল খেলেনি দল, ভুলত্রুটি ছিল। সেটা মানছেন ছোটনও। জানালেন, সেসব নিয়ে কাজও হয়েছে শেষ কিছুদিন। বললেন- ‘রাশিয়া, ভারত, নেপালের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেয়েদের কিছু ভুলত্রুটি ছিল। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি, ফিনিশিং নিয়ে কাজ করেছি আমরা। আগামী আসরে আমরা সেই ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিয়ে ভালো কিছু কর।’
ঢাকার মাটিতে দল খেলে কৃত্রিম টার্ফে। সেখানে সিঙ্গাপুরের মাটিতে দলকে খেলতে হবে ঘাসের মাঠে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না কোচ। গেল সিনিয়র সাফেও বাংলাদেশ খেলেছে ঘাসের মাঠে, সেখানে শিরোপা জিতেই শেষ করেছিলেন সাবিনা খাতুনরা। এ ছাড়া ঘাসে খেলার অভিজ্ঞতাটা নেহাত কম নেই। তার ওপর সিঙ্গাপুর নেমেই ঘাসের মাঠে দুই সেশন অনুশীলনের সুযোগ পাবে দল। সব মিলিয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না কোচ।
আগামী ২৬ এপ্রিল তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে বাংলাদেশের। ৩০ এপ্রিল রুমাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক সিঙ্গাপুর।