প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:০৮ পিএম
লিগের আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিলেন আবাহনী কোচ মারিও লেমোস। প্রথম পর্ব শেষে শীর্ষস্থান থেকে ৯ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলে আর কীইবা করার থাকে! তবে সেই আবাহনীই দ্বিতীয় লেগের শুরুতে দেখছে আশার আলো। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানটা যে কমে এখন নেমে এসেছে ৪-এ! বাংলা নববর্ষে মাঠে নেমে আজ দানিয়েল কলিন্দ্রেসের হ্যাটট্রিকে ভর করে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রহমতগঞ্জকে। এই জয়ের ফলে নতুন বছরের শুরুতে বসুন্ধরার আরও কাছে চলে এসেছে আবাহনী।
কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ দুই দলকে লড়তে হয়েছে তীব্র দাবদাহের সঙ্গেও। তবে সে লড়াইয়ে যে বৈশাখের তীব্র খরতাপেরই জয় হয়েছে, তা আর বলতে! মাঠে লড়াইয়ে এর ছাপ পড়েছে বেশ। আবাহনীর আক্রমণে ছিল না কোনো ধার।
প্রথম বলার মতো আক্রমণটা করে ১৭ মিনিটে। সে আক্রমণেই বাজিমাত। ফাউলের শিকার হন আবাহনী ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিন্দ্রেস। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে লেমোসের দলকে এগিয়ে দেন কলিন্দ্রেস। শুরুর অর্ধে আর গোল হয়নি।
আবাহনী যেন নিজেদের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। রোদের তাপটা কমে এসেছিল খানিক। কলিন্দ্রেসরা তারই সুযোগটা নেন ভালোভাবে। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় আবাহনী। এই গোলেও অবদান কলিন্দ্রেসের। বাম দিক থেকে আক্রমণে উঠে সহজ এক ট্যাপ ইনের সুযোগ বানিয়ে দেন নাবিব নেওয়াজ জীবনকে। সেটা কাজে লাগিয়ে চলতি লিগে নিজের চতুর্থ গোল আদায় করে নেন জীবন।
আবাহনীর জয়টা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। তবে লিগের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা সুতোয় ঢিল দেয়নি। ৭৯ মিনিটে রাফায়েলের বাড়ানো বলে কলিন্দ্রেসের নিচু শট গিয়ে জড়ায় রহমতগঞ্জের জালে। যোগ করা সময়ে মাসুদ রানার ক্রস থেকে হ্যাটট্রিকটাও পূরণ করেন আবাহনী টালিসমান। ৪-০ গোলের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
এই জয়ের ফলে আবাহনীর ঝুলিতে জমা পড়ল ১২ ম্যাচ থেকে ২৭ পয়েন্ট। বসুন্ধরা থেকে দলটির দূরত্ব এখন চার পয়েন্টের। যদিও বসুন্ধরা ৩১ পয়েন্ট অর্জন করেছে ১১ ম্যাচ থেকে।