প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ২১:২৭ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪১ পিএম
গোল করা অভ্যাসে পরিণত করেছেন আর্লিং হালান্ড। মুড়িমুড়কির মতো প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল করেছেন। চলতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়ে ইতোমধ্যেই বনে গিয়েছেন তারকা। চোখ রাঙাচ্ছেন প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে করা সর্বোচ্চ ৩৪ গোলের রেকর্ডকে। গতকাল সাউদাম্পটনের বিপক্ষেও জোড়া গোলের দেখা পেয়েছেন হালান্ড। হালান্ডের দিনে গোলে সহায়তা করে সেঞ্চুরি করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ম্যাচে পেপ গার্দিওলার দল জয় পেয়েছে ৪-১ গোলে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে সিটিকে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত গোলবঞ্চিত রেখেছিল সাউদাম্পটন। ৪৫ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে লিড এনে দেন হালান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিলিশ। ১০ মিনিট পর গ্রিলিশের মাপা ক্রস দারুণ এক অ্যাক্রোবেটিক শটে জালে জড়ান হালান্ড। এবারের লিগে যা তার ৩০তম ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির জার্সিতে ৪৪তম গোল। নান্দনিক এই গোলের মধ্য দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক মৌসুমে ৩০ গোলের কৃতিত্ব অর্জন করেন হালান্ড। সঙ্গে ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে রুড ফন নিস্টলরুই ও মোহাম্মদ সালাহর পাশে বসেন হালান্ড। সিটির জার্সিতে শেষ গোলটি করেন আলভারেজ। এই জয়ে ২৯ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ৬৭। সমান ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৭২।
এ ম্যাচেও হালান্ডকে পুরো সময় মাঠে রাখেননি গার্দিওলা। ৬৯ মিনিটে হালান্ডকে উঠিয়ে নেন সিটির বস। এর আগে লাইপজিগের বিপক্ষে ৫ গোল করেছিলেন হালান্ড। ওই ম্যাচে ডাবল হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও তুলে নেওয়া হয় তাকে। তবে ২২ বছর বয়সি এই তরুণ যেভাবে ছুটছেন তাতে অনেকের ধারণা হালান্ড হতে যাচ্ছেন আগামীর মেসি-রোনালদো। এ বিষয়ে গার্দিওলার মত জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেন, ‘রোনালদো ও মেসির পর্যায়ে যেতে অনেক অনেক কিছু করতে হবে। ওরা কখনোই খুব একটা চোটে পড়েনি। হালান্ড অনেক লম্বা, বিশালদেহী। তাকে নিয়ে অনেক সাবধানে কাজ করতে হয় ফিজিওদের। তবে আমি যখন থেকে তাকে দেখছি, তার সঠিক মানসিকতা আছে রোনালদো-মেসির মতো হওয়ার। সে ঠিক অবস্থানেই আছে। সে পুরোপুরি পেশাদার এবং লড়াই করতে চায়। গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করলে তার প্রতিক্রিয়া দেখে আমি তা বুঝি, এমনকি অনুশীলনেও। তবে তার সেই হতাশা থাকে বড়জোর মিনিট পাঁচেক। এরপরই আবার সে জেগে ওঠে এবং নিজের কাজটা করে। মেসি-রোনালদোর মতোই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করে সে। যখন দুই-তিন গোল করতে পারে না, তখন সে নিজেকেই কাঠগড়ায় তোলে, ‘সমস্যা কোথায় হচ্ছে? কোথায় ঝামেলা হচ্ছে?’ এই বয়সেই তার যে গোলসংখ্যা, এটা অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্লিং তার পেশাদার ক্যারিয়ারে কতগুলো ম্যাচ খেলেছে, খেয়াল করে দেখুন। এই সময়ে তার সংখ্যার সঙ্গে মেসি-রোনালদোর ওই সময়ের গোল তুলনা করে দেখুন, একই রকম হবে। আর্লিংয়ের বয়স স্রেফ ২২ এবং সে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লিগে নিজের কাজটা দারুণভাবে করে চলেছে। আমি এটা বলতে পারি, কারণ অন্য লিগগুলোয় তো কাজ করেছি। এখানে সে যা করছে, তা অসাধারণ।’