প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:০৫ পিএম
সাদা বলের ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের সাফল্য নেহায়েত কম নেই। সেই সূত্র ধরেই ২০১৭ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়া। তবে ২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে আইরিশদের খুব একটা দেখা যায়নি টেস্টে, হাতেগোনা চারবার খেলেছে টেস্ট। দেশটির প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামোর অবস্থা আরও নাজুক। যে কারণে খেলোয়াড়দের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও কম অনেক।
আরও পড়ুন : মুশফিক: ম্যান ইন অ্যাকশন
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ দশম দল হিসেবে পেয়েছিল টেস্ট মর্যাদা। ক্রিকেটের নবীনতম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সংস্কৃতিটা নেহায়েত খারাপ ছিল না। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে শুরু জাতীয় ক্রিকেট লিগের। যদিও প্রথম শ্রেণির মর্যাদাটা পরের মৌসুম থেকে পেয়েছে প্রতিযোগিতাটি।
আইরিশদের ইন্টার প্রভিন্সিয়াল চ্যাম্পিয়নশিপ নামে একটা টুর্নামেন্ট ২০১৩ সাল থেকে মাঠে গড়ায়, যখন আয়ারল্যান্ড নামের একটা দলই খেলত ইংলিশ কাউন্টিতে। তবে ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের পর থেকে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলার সুযোগ শেষ হয়ে যায় আইরিশদের। এরপর থেকে শীর্ষ আইরিশ ক্রিকেটাররা খেলছেন ইন্টার প্রভিন্সিয়াল চ্যাম্পিয়নশিপে। বর্তমান অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি, জর্জ ডকরেল, লরকান টাকাররা সেখানকার সবচেয়ে সফল দল লিনস্টার লাইটনিংয়ের খেলোয়াড়, ওপেনার জেমস ম্যাককলাম, পল স্টার্লিং, মার্ক আদাইররা খেলেন নর্দান নাইটসে।
তবে তিন দলের এই টুর্নামেন্ট করোনার পর থেকে মাঠে গড়ায়নি আর। সে কারণেই দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত আইরিশ ক্রিকেটাররা। কাঠামোটা ঢেলে সাজানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে আইরিশ ক্রিকেট। কিন্তু তার অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থমকেই আছে দেশটিতে।
সে বাধার পরও বাংলাদেশের মাটিতে রীতিমতো বুক চিতিয়েই লড়েছে আইরিশরা। আইরিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রেইন তাতে বেশ খুশি, ‘আমরা অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট তো বটেই, দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটই খেলিনি। তবে এরপরও যেভাবে পারফর্ম করেছি আমরা তাতে বেশ খুশি।’
এমন পারফরম্যান্সের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের চাওয়াটা আরও জোরালো হয়েছে দলটির। তার কথা, ‘আশা করছি কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা একটা ভালো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো দাঁড় করাতে পারব। ২০১৯ সালের পর থেকে আমরা আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলিনি। এভাবে চললে কঠিন। যেভাবে লরকান, হ্যারিরা ব্যাট করেছে আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে, সেটাই দেখায় আমাদের ভালো মানের ক্রিকেটার আছে, নেই যে এমন নয়। যত বেশি আমরা দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট খেলতে থাকব, তত বেশি আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়বে, খেলার মান ভালো হবে তত বেশি।’
সীমাবদ্ধতা আছে, তবু এই সফরের পারফরম্যান্স সাহস দিচ্ছে তাদের। ম্যাকব্রেইনের কথা, ‘এই সফরে আমরা যেভাবে খেলেছি, তা থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটো সিরিজে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে যেতে চাইব আমরা। এখানে অল্প রানে ৪ উইকেট খোয়ানোর পর আমরা যেভাবে আরও দুটো দিন ব্যাট করেছি, সেটাই আমাদের লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেয়; এর মাধ্যমে আমাদের ভেতর বড় দলগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সাহস বাড়ছে, তাদেরকে বিপদে ফেলার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি আমরা।’