প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:০২ এএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:০৮ এএম
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দাপুটে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও জয়ের শেষ হাসি হেসেছে সাকিব আল হাসানের দল। অধিনায়কের মতে, সাফল্যের পেছনের মূল কারণ দলের বদলে যাওয়া মানসিকতা। পরিবর্তনের পর টাইগাররা নিজেদের ছোট দল ভাবে না। পাশাপাশি লক্ষ্য আগামী ছয় মাসে আরও ভালো ক্রিকেট খেলা।
আরও পড়ুন : ঢাকায় শুরু ঢাকায়ই শেষ
গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব নিজেদের ‘ছোট’ দল না ভাবার বিষয়টি স্পষ্ট করেন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের ‘ছোট’ ভাবায় সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি দল। সাকিব তাই কাজ করেছেন মানসিকতা পরিবর্তনে। ওই উন্নতিকেই দেখছেন বড় করে।
সাকিব বলেন, ‘মানসিক উন্নতিই সবচেয়ে বড় উন্নতি। বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচের সময় আলোচনা করেছি, হয়তো এই বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত নিজেদের অনেক ছোট দল মনে করতাম। কিন্তু আমরা ছোট দল ছিলাম না। বিশ্বাসটা থাকলে হয়তো সেমিফাইনাল খেলতাম। এই জায়গাতে ঘাটতি ছিল।’
ব্যর্থতা থেকেই পরিবর্তন আনার চিন্তার সুফল মিলেছে টি-টোয়েন্টি দলে। ‘এরপর থেকে চিন্তা ছিল আমরা মানসিকতায় পরিবর্তন আনব। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি দলের সবাইকে দেখবেন সবার মধ্যে মানসিক পরিবর্তন আছে।’- যোগ করেন সাকিব। ওয়ানডে ও টেস্ট দলের মানসিকতা নিয়ে অবশ্য মুখ বন্ধ রেখেছেন।
আইরিশদের বিপক্ষে টেস্ট নিয়ে সাকিবের মধ্যে ছিল না জয় ভিন্ন কোনো চিন্তা। ম্যাচের তৃতীয় দিনে আইরিশদের পারফরম্যান্সের প্রশংসাও ছিল তার কণ্ঠে, ‘আমি খেলা শুরুর আগে কিছুই চাইনি। অবশ্যই ম্যাচটা জিততে চেয়েছি, জিততে পেরেছি, এতেই খুশি। বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে।’
ঢাকা টেস্টের আগে অনুশীলনে বাংলাদেশ আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার ধারণা দিয়েছিল। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার ভাবনা পুষে রেখেছেন অধিনায়ক। অবশ্য কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষের কারণে বদল আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। তার জবাব, ‘হয়তো বেশিরভাগ ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করব। সব সময় হয়তো হবে না। কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে। আস্তে আস্তে হয়তো পজিটিভ খেলার চেষ্টা করব।’ আগ্রাসী ক্রিকেটের ধারাটা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ দিনেও। লিটন দাসকে ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠানো তারই ইঙ্গিত। লিটনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় সাকিবের ভাষ্য, ‘এখন যেমন ব্যাটিং করছে, বড় রান করলে শট খেলছে, আজও (গতকাল) শট খেলেছে। আমরা ওর খেলা পরিবর্তন করতে চাই না।’ ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী মনোভাব থাকলেও দল এখনও টেস্টে নিয়মিত ৪০০-৪৫০ রানের উপযুক্ত নয়, সেটা স্বীকার করতেও দ্বিধা নেই সাকিবের। তার জবাব- ‘না, এখনও ওটা নেই।’
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট নজর কেড়েছে। বছরের বাকি সময়ও ভালো খেলার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে চান। সেটা নিয়ে সাকিবের ভাষ্য, ‘আমি তো আগেই বলেছিলাম ২০২৩ সাল আমাদের খুব ভালো যাবে। গুরুত্বপূর্ণ বছর, এশিয়া কাপ আছে, বিশ্বকাপ আছে। পরবর্তী ৬ মাস যেন ভালো খেলতে পারি। প্রথম ৪ মাস বা প্রথম অর্ধ অনেক ভালো খেলেছি। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে এটা ধরে রাখার।’