প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫০ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
টি-টোয়েন্টির ওপেনিং জুটি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছিল। ভিন্ন ভিন্ন ওপেনিং জুটির দ্বারস্থ হয়েও আসছিল না ফল। যার ফলে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশকে ভুগতে হয়েছে একটা বড় সময়। তবে চলতি বছর পাঁচ টি-টোয়েন্টিতে দুই ওপেনার লিটন দাস আর রনি তালুকদারের পারফরম্যান্স সেই দুঃসময়কে পেছনে ফেলার আশা দেখাচ্ছে দলকে।
ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা, কিংবা আয়ারল্যান্ডকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই হোয়াইটওয়াশ করে দেওয়া, এই কীর্তির নেপথ্যে আছে দলের ভয়ডরহীন ক্রিকেট। আর এই বদলে যাওয়া মানসিকতার গোড়াপত্তনটা করেছেন দুই ওপেনার মিলেই। ৫ ইনিংসে ৩১৯ রান করেছেন ৩০ ওভারে, রানরেটটাও বেশ টি-টোয়েন্টিসুলভই, ১০.৬৩!
আরও পড়ুন - লিটন-রনি, ওপেনিং জুটির সমাধান
দুজনের এমন পারফরম্যান্স স্বস্তি এনে দিয়েছে নির্বাচকদেরও। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ থেকে সব মিলিয়ে ১০টা ভিন্ন ভিন্ন জুটি খেলানো হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। ১০ নম্বর জুটি এসে অবশেষে ইঙ্গিত দিচ্ছে থিতু হওয়ার।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের কণ্ঠে ঝরে পড়ল স্বস্তি। ওপেনিং তো আছেই, পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর স্বস্তিটাই বেশি তার। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেটা আমাদের সমস্যা হয়েছিল অনেক দিন ধরেই। আমরা যা চাচ্ছিলাম, তা পাচ্ছিলাম না। যার কারণেই আমাদের এখানে (ওপেনিংয়ে) পরিবর্তন আনতে হচ্ছিল। তো এখানে এখন পর্যন্ত খুব ভালো হচ্ছে। আমরা পাওয়ার প্লেতে যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেটটা চাই, ওপেনারদের কাছ থেকে সে খেলাটাই পাচ্ছি।’
প্রতিদিনই অবশ্য এমন পারফরম্যান্স আসবে না, সেটাও ভাবনায় আছে নির্বাচকদের। তবে তাদের চাওয়া, ‘ইনটেন্ট’ যেন থাকে অন্তত। তার কথা, ‘টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে প্রতিদিনই ৬০ হবে, বিষয়টা এমন নয়। না পারলেও চেষ্টাটা দেখতে চাই। এখানে সেই চেষ্টাটা দেখছি, তো এটা দেখে ভালো লাগছে।’
চলতি বছর মিডল অর্ডার বা শেষের দিকের ব্যাটাররাও বড় অবদান রাখছেন দলে। হাবিবুলের অভিমত, ওপেনাররাই এই সুযোগটা গড়ে দিচ্ছেন তাদের। তার কথা, ‘আমরা পাওয়ার প্লেতে সব সময়ই ৫০-৪০-এর নিচে রান করতাম বেশিরভাগ ম্যাচে। ৫০ ভালো, কিন্তু ৪০ তুললে পাওয়ার প্লেতে আপনি পিছিয়ে যাবেন। এখানে ১০-২০ রানও অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। আমরা পাওয়ার প্লেতে ভালো করছিলাম না, এটা আমাদের বড় সমস্যা ছিল। আমাদের তো শেষের দিকেও অমন বড় হিটার ছিল না... এখন ওরা প্ল্যাটফর্মটা দেওয়াতে বাকিদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাচ্ছে।’
এমন ক্রিকেট খেললে বাড়বে বড় মঞ্চে জেতার সুযোগও। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের কথা, ‘এমন খেলাটা ধরে রাখলে আমরা বড় টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচের একটা জিতব অন্তত, না খেললে একটাও জিতব না। আমাদের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড তো এমনই বলে। আমরা এখন সে অবস্থা থেকে ভিন্ন ক্রিকেট খেলছি, প্রতিদিন হয়তো পারব না, তবে এমন খেললে বড় টুর্নামেন্টে আমাদের ম্যাচ জেতার হারটা বাড়বে।’