পাকিস্তান-আফগানিস্তান সিরিজ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৩:৩৯ এএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩ ১০:৫২ এএম
এক ম্যাচ আগেই ইতিহাস গড়েছিল আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি জিতে তা আরও পোক্ত করেছে আফগানরা—ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে প্রথমবার ম্যাচ হারার পর রশিদ-নবীদের কাছে সিরিজও খুইয়েছে পাকিস্তান।
শারজায় শাদাব খানদের ছিল সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। বাবর-রিজওয়ানদের অনুপস্থিতিতে আনকোরা পাকিস্তান দল পারেনি। সিরিজে ফেরার ম্যাচে প্রথমে ৬ উইকেট হারিয়ে জমা করে ১৩০ রান; যা ১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পেরোয় আফগানিস্তান। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লেখা হয় নতুন ইতিহাস।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে লো স্কোরিং পিচে ৬ উইকেটের বড় জয় তোলে আফগানিস্তান। রবিবার টস জিতে শূন্য রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান ধুঁকেছে সব বিভাগে। আফগান বোলারদের তোপে পড়েছে টপ, মিডল হয়ে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা।
ব্যাট হাতে পাকিস্তানকে পথ দেখিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম
৬৩ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে সামনে থেকে টানেন শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ইমাদ, তার সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়া শাদাব করেন ৩২ রান। তাতেই সংগ্রহ ১৩০ পর্যন্ত আসে পাকিস্তানের।
বল হাতে ২ উইকেট নেওয়া ফজল হক ফারুকির তোপ আর রশিদের ঘূর্ণির দিনে ব্যাট হাতে বাকি কাজ এগিয়ে রাখেন রহমানুল্লাহ গুবরাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ফেরার আগে ওপেনার গুবরাজ যোগ করেন ৪৪ রান এবং ৩৪ রান করেন ইব্রাহিম। বাকি পথ নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ১ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যান মোহাম্মদ নবী।
ইতিহাস গড়া সিরিজে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফারুকি। বল হাতে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ১৯ রান খরচ করে তিনিই ধসিয়ে ছিলেন পাকিস্তানের ইনিংস। আগের ম্যাচের নায়ক নবী ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিরিজের শেষ ম্যাচ ২৭ মার্চ, শারজায় পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর এবং আফগানদের ইতিহাস আরও বাড়িয়ে নেওয়ার মঞ্চ।