প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৮:২০ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪১ পিএম
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। তাতে একটা রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে তামিম ইকবালের দল। যেকোনো ফরমেটে যে এটাই প্রথম কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের নজির বাংলাদেশের!
লক্ষ্যটা ছিল ১০২ রানের। সে লক্ষ্যে পা হড়কানোটাই বেশ কঠিন। বাংলাদেশ পা হড়কায়নি। লিটন দাস আর তামিম ইকবাল পা হড়কাননি। ছোট লক্ষ্যে তাড়াহুড়োর কিছু ছিল না, কিন্তু দুই ওপেনারের ব্যাটিং দেখলে সেটা কে বলবে! দুজন মিলে রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৭.৭৪ রান করে। তামিম ফিফটির দেখা পাননি, পেয়েছেন লিটন দাস। ৩৮ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন তিনি, তামিম অপরাজিত ছিলেন ৪১ বলে ৪১ করে। তাতে বিনা উইকেটের জয়টাও এসেছে ২২১ বল হাতে রেখে, নিজেদের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় বৃহত্তম জয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের এমন জয়ের রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিলেন পেসাররা। আইরিশ ইনিংসের সবকটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ আর এবাদত হোসেনরা। আইরিশদের বেঁধে রেখেছিলেন ১০১ রানে।
পেস উৎসবের শুরুটা হয়েছিল ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। হাসান মাহমুদের হাত ধরে। স্টেফেন দোহেনিকে ফেরান উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে। পরের দুটি উইকেটও গেছে তারই ঝুলিতে। পল স্টার্লিং আর হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়েছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। তাসকিন আহমেদ আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে ফিরিয়ে যোগ দিয়েছেন উৎসবে। দুই, তিন আর চার—এ তিন উইকেট বাংলাদেশ তুলেছে আট বলের ব্যবধানে। ৪ রান তুলতে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা। আইরিশ ইনিংসের মেরুদণ্ডটা তখনোই ভেঙে গেছে।
লরকান টাকার আর কারটিস ক্যামফার মিলে সে ধাক্কাটা সামাল দিতে চেষ্টা করলেন। তাতে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রানের জুটিও হলো একটা। আইরিশ ইনিংসে দুজন ছুঁলেন দুই অঙ্ক, সেটা এই দুজনই। তবে শেষ রক্ষা হলো না। এবাদত হোসেনের তোপে সে জুটি ভাঙল টাকারের বিদায়ে। পরের বলে জর্জ ডকরেলকেও ফেরালেন তিনিই। এরপর তাসকিন আহমেদ দৃশ্যপটে এলেন অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রায়ান আর মার্ক অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে। এরপর হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফেরেন কার্টিস ক্যামফার। ৯৬ রানে ৯ উইকেট খুইয়ে আইরিশরা তখন দুই অঙ্কেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়।
সে শঙ্কা শেষমেশ সত্যি হয়নি তাদের। তবে তাতে তাদের খুব একটা লাভও হয়নি। হাসান মাহমুদের তোপে হিউম যখন ফিরলেন শেষ ব্যাটার হিসেবে, আইরিশদের স্কোরবোর্ডে তখন জমা পড়েছে মোটে ১০১ রান। বাংলাদেশও ইতিহাস গড়ে ফেলেছে, নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন পেসাররা। ফাস্ট বোলারদের গড়ে দেওয়া সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই এসেছে এই রেকর্ডগড়া জয়।