প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৭ এএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৪ পিএম
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম তিন টেস্টে আলোচনা কেড়েছিল স্পিনিং পিচ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি শেষে আবারও আলোচনায় সেই স্পিন। ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত শিরোপা—এমন সমীকরণের সামনে সিরিজ যখন দাঁড়িয়ে, তখন স্পিনবান্ধব এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম বাড়াচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডের চিন্তা। চেন্নাইয়ের মাঠটিতে বল মূলত নিচু হয়ে আসে, এক্সট্রা টার্ন কিংবা ছোট হয়ে বাউন্সও থাকে। স্লো এবং টার্নিং পিচে মূলত দাপট দেখান স্পিনারারাই—ব্যাটারদের ধুঁকতে থাকা সিরিজে আজ তাই স্পিন ও স্পিনারদের বিরুদ্ধে লড়াই, রানখরা কাটিয়ে দুদলের শিরোপা নিশ্চিতের লড়াইও বটে।
ভারতের যেমন লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ, অস্ট্রেলিয়ারও তেমন। কিন্তু বিশ্বকাপের বছরে ব্যাটাররা ফেলেছেন চিন্তার ভাঁজ। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে টপ থেকে মিডল হয়ে ধুঁকেছে দুদলের লোয়ার অর্ডারও। ওয়াংখেড়েতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া থামে ১৮৮ রানে, সেই লক্ষ্য পেরোতেও নাকানিচুবানি খায় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে চমক দেখান অজি পেসাররা। মিচেল স্টার্কের তোপের দিনে ভারত গুটিয়ে যায় ১১৭ রানে, ঘরের মাঠে রোহিত শর্মার দল পায় লজ্জার ১০ উইকেটের হার। প্রথমটিতে ভারত, দ্বিতীয়টিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে চেন্নাইয়ের তৃতীয় ও সিরিজের শেষ ওয়ানডে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ট্রফিতেও চোখ তুহিনের
কিন্তু এমন একটি ভেন্যুতে সিরিজ নির্ধারণী লড়াই, যেখানে জয়ের চিন্তা ছাপিয়ে রোহিত-স্মিথদের ভাবতে হচ্ছে স্পিন নিয়ে। ভারত সবশেষ একাদশে পরিবর্তন এনে একজন বাড়তি স্পিনারও খেলাতে পারে। কন্ডিশন বিচারে উইনিং টিমের কম্বিনেশন ভেঙে অ্যাস্টন অ্যাগারকে দলে আনতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফিট হয়ে দলে ফিরলে বড় পরিবর্তন আসতে পারে অজি একাদশ ও ব্যাটিং লাইনআপে।
চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিং করা মাঝে মাঝে খুব কঠিন। তাছাড়া খেলা যত এগোয় পিচ ততই রুক্ষ হতে থাকে। স্পিনাররাও পেয়ে যান দাপট দেখানোর সুযোগ। সেটাই ব্যাটারদের তথা ভারতের বড় চিন্তার
তবে একাদশ নিয়ে চিন্তা ছাপিয়ে দুদলের ভাবনার জায়গায় দাঁড়িয়েছে চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। মাঠটির ইতিহাসও অবশ্য খুব একটা ভালো নয়। সবশেষ ২১ এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসাব কষলে সেখানে গড় স্কোর ২৫৯ রান। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে এমন দল ২২টি ম্যাচের ১৩টিতে জিতেছে। এখানে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি হয়েছে ২০১৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক দিনের খেলাটি হেরে গিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে আহমেদাবাদে, শুরু ৫ অক্টোবর
চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিং করা মাঝে মাঝে খুব কঠিন। তাছাড়া খেলা যত এগোয় পিচ ততই রুক্ষ হতে থাকে। স্পিনাররাও পেয়ে যান দাপট দেখানোর সুযোগ। সেটাই ব্যাটারদের তথা ভারতের বড় চিন্তার।
ওয়াংখেড়েতে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট ও দশ ওভারের বেশি বল বাকি থাকতে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের ১১৭ রান ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ পেরোন ১০ উইকেট ও ২৩৪ বল হাতে রেখে। প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারীরা ১৮ রান যোগ করতে হারায় শেষ ৫ উইকেট। জবাবে ৩৯ রানে টপ অর্ডারের শুরুর চার উইকেট হারায় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে দলীয় ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো রোহিত-কোহলিরা কোনোমতে পেরোন একশ। ব্যাটারদের এমন নাকানিচুবানি খাওয়া সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে স্পিনারদের দাপুটে ডেরায়। সিরিজ নির্ধারণী মঞ্চে যারা স্পিনারদের বিরুদ্ধে দিন রাঙাতে পারবে, তাদের হাতেই উঠবে শিরোপা। চেন্নাইয়ে কার্যত ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচটিতে তাই বাড়তি নজর, শেষ হাসি হাসবেন কে—রোহিত শর্মা না স্টিভ স্মিথ!
ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওয়ানডে সরাসরি, দুপুর ২টা স্টার স্পোর্টস ১ |
সম্ভাব্য একাদশ
ভারত—রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পাণ্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামি।
অস্ট্রেলিয়া—ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, অ্যালেক্স কেরি (উইকেটরক্ষক), ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস স্টয়নিস, শন অ্যাবট, নাথান এলিস, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পা।