প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫১ পিএম
রবিবার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের একাদশে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুরের ইনিংসের প্রায় পুরোটা সময় ফিল্ডিংয়ে তার দেখা নেই। বদলি হিসেবে মাঠে ফিল্ডিং করেছেন রিশাদ হোসেন। শাইনপুকুরের ইনিংস চলাকালে মোটর সাইকেলের হেলমেট পরা অবস্থায় দৌড়ে মাঠে ঢুকে পোশাক পরিবর্তন করেন। শাইনপুকুরের ইনিংসের ৩০ ওভারের সময় মাঠে ঢোকেন বিজয়।
শুধু তাই নয়, দেরিতে ফিল্ডিংয়ে নামা বিজয় আবার ওপেনিংয়েও নেমেছেন। তবে আইসিসির নিয়ম বলে ওপেনিংয়ে মাঠে নামার কোনো সুযোগ নেই বিজয়ের। নিয়মের মারপ্যাঁচ নেই, প্রতিপক্ষের কোনো অভিযোগ নেই। ব্যাট হাতে নেমে বিজয় খেললেন ৫৪ রানের ইনিংস।
কেন বিজয় দেরি করলেন সেটা সবারই জানা। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করে সমাবর্তন নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি মাঠে এসে খেলতে নামেন। সমাবর্তনের তারিখটা আগে জানা থাকলেও আবাহনী থেকে ছুটি নেননি। বরং একাদশে ছিলেন। মাঠে নেমেছেন দেরিতে।
এভাবে তার মাঠে নামা কি আইনসিদ্ধ ছিল? এমন প্রশ্নটাই ছিল ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ শিপারের কাছে। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেছেন, ‘দুই দলই বিজয়ের বিষয়ে তার কাছে বলেছে। প্রতিপক্ষের কোনো অভিযোগ ছিল না। তাই কোনো সমস্যা হয়নি।’
আরও পড়ুন : ছয় হাজার রানের ক্লাবে বিজয়, মুগ্ধর বোলিং মুগ্ধতা
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শিক্ষাজীবনে সমাবর্তনটা একবারই আসে। বিশেষ কারণে সে সুযোগটা পেতেই পারে। আইসিসির ২৪.২ ধারায় বলা আছে, বিশেষ কাজে আটকে গেলেও মাঠে নামার সুযোগ পাবেন ব্যাটাররা।’
বিজয়ের এই ‘বিশেষ’ কাজটা যে হুট করে আসেনি সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। ছুটি চাইলেও হয়তো পেতেন। তবুও দুই জায়গায় উপস্থিত হয়েছেন বিজয়। নিয়েছেন সুবিধা। ম্যাচে প্রতিপক্ষ শাইনপুকুরের অভিযোগ না জানানোর কারণ সম্ভবত ‘একটাই’। দলের মালিক যে একই।