প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:১২ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ১২:১৪ পিএম
একটা সময় ছিল যখন ম্যাচ জেতাতেন স্পিনাররা, হারানো দায়টা উল্টো ঢালাওভাবে উঠত পেসারদের কাঁধে। সেই দৃশ্যে এসেছে আমূল পরিবর্তন। হারানো নয়, এখন বরং জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের পেসাররা। মূলত ২০২২ সালের মার্চে অ্যালান ডোনাল্ড যখন পেস বোলিং কোচ হয়ে এলেন তারপর থেকে পরিবর্তনের এই হাওয়া। সেই আত্মবিশ্বাসে চেপে তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা এগিয়েছেন বহুদূর, লাল সবুজের দলকে এনে দিয়েছেন স্মরণীয় কিছু জয়।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইবাদতের পেস দাপট কিংবা সম্প্রতি ইংলিশদের বিপক্ষে তাসকিন-মুস্তাফিজদের ধারাবাহিক ফর্ম— এসব যে অপ্রত্যাশিত সাফল্য ছিল না, সেটির প্রমাণ মাঠে দুর্দান্তভাবে দিচ্ছেন পেসাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেকবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পেসাররা এখন আর মার খাওয়ার ভয় পায় না।’
আরও পড়ুন : পেস বোলিংয়ে ‘বিপ্লব’
বোলারদের মার খাওয়ার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড। তাতেই আত্মবিশ্বাসী হন পেসাররা, আসছে সাফল্য, ‘ভুল করার ভয়টি দলের থেকে বের করে দিয়েছি।’ ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ডোনাল্ড, ‘প্রায় প্রতিদিন তাদের বলি—মাঠের পাশে বসে কী ভাবছি সেটি নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি সেখানেই থাকব। আপনাদের ভুল এবং হৃদয়ভঙ্গের গল্প জানি। ভুল করায় কোনো সমস্যা নেই, ছক্কা খেলে কিছু যাবে আসবে না।’
ডোনাল্ডের সেই মন্ত্রে মাঠে দাপট দেখাচ্ছেন ইবাদত-তাসকিন-হাসানরা। বাংলাদেশ দলের পেসারদের এই রূপের সঙ্গে আগে কখনও ক্রিকেট–বিশ্ব পরিচিত ছিল না। সম্প্রতি পেসারদের পারফরম্যান্সই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ দলকে স্বস্তিতে রাখছে, ঘরের মাটিতেও পেসাররা লড়ছেন সামনে থেকে।
গত বছর বাংলাদেশের পেসাররা তিন ফরম্যাট মিলে তুলে নিয়েছেন ১৬৭ উইকেট। যা আগের দুই যুগেও আনতে পারেননি কোনো পেস গ্রুপ। দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তির মতে, এটি দুর্দান্ত, তবে প্রমাণ করতে হবে ফ্লুক না। সেই লক্ষ্যে দারুণভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাসকিন-মুস্তাফিজ-ইবাদত-হাসানদের নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ।