প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩ ০০:০০ এএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩ ০০:০২ এএম
ভুটান যখন প্রতিপক্ষ, মাঠের লড়াইয়ে তখন বড় জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিয়ে বসে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সেটাই করে দেখাল। গোল উৎসবের রঙিন জয়ে নিজেদের শুরুটা রাঙাল রুমা আক্তাররা। গতকাল ভুটানকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রতিপক্ষ ভুটানকে ধসিয়ে দিয়েছে তারা ৮-১ গোলে।
আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ লড়াইয়ে তাদের ‘শত্রু’ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দল রাশিয়া। এ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলার ও কোচদের যেন আগ্রহের শেষ নেই। ইউরোপিয়ান টিমকে মোকাবিলা করার আগে দুর্বার এ জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের।
গতকাল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু থেকে ভুটানকে ধরে খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুরন্ত পারফরম্যান্সে প্রথমার্ধেই চার গোলের দেখা পেয়ে যায়। বিরতির পর স্বাগতিক মেয়েরা ভুটানের জালের জড়ায় আরও চার গোল।
আরও পড়ুন : রুমাদের সামনে ভুটান
ষোড়শ মিনিটে লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের ভেতর ভুটানি গোলরক্ষক ছুটে এসে স্লাইড করে আটকাতে চেয়েছিলেন সুরভীকে। কিন্তু তার আগে শট নেন তিনি। বল পেয়ে নিখুঁত টোকায় জাল কাঁপিয়ে দেন ফাঁকায় থাকা তৃষ্ণা। ২৮তম মিনিটে ব্যবধান ২-০-তে নিয়ে যায় স্বাগতিকরা। নুসরাত জাহান মিতু বল পেয়ে ক্রস শটে লক্ষ্যভেদ করেন তৃষ্ণা। ৩৬তম মিনিটে সুলতানা আক্তারের মাথা ছুঁয়ে বল জড়ায় জালে। ৬ মিনিট পর প্রীতির শট বাঁক খেয়ে জালে আশ্রয় নিলে ব্যবধান বেড়ে যায় আরও।
৬০তম মিনিটে প্রীতির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন থুইনু মারমা। মাঠে নেমেই প্রথমবার আক্রমণে গিয়েই গোল পেয়ে যান এ ফরোয়ার্ড। পূজা দাসের থ্রু পাস ক্লিয়ার করতে পারেননি ডিফেন্ডার। বল চলে যায় থুইনুর কাছে। এগিয়ে যাওয়া গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। দুই মিনিট পর ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল ব্যবধান আরও বাড়ান বদলি হিসেবে নামা মুন্নি আক্তার। ৬৫তম মিনিটে ব্যবধান কমান প্রিয়া ঘাল্লে।
৭৬তম মিনিটে সাগরিকার উঁচু করে নেওয়া শট ক্রসবার ছুঁয়ে গোলরক্ষকের হাতে লেগে ফিরতি বলে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন থুইনু। ৮৫তম মিনিটে মুন্নির শট গোলরক্ষক ধরতে না পারলে বল জালে পাঠান সাগরিকা।
দিনের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৪-১ গোলে ধরাশায়ী করে ভারত। ভারতের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন শিলজি শাহজি। বাকি গোলটি আসে পূজার কল্যাণে।