প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৩ পিএম
‘আমরা অন্তত এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল যেন হতে পারি সেই চেষ্টা করব।’- ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এ কথা বলছিলেন। তিনি আরও যোগ করেন, এই সিরিজে আমাদের সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে ফিল্ডিংয়ে। বিষয়টি শুধু সাকিব নয়, সবার চোখেই পড়েছে। লিটন দাসের দারুণ স্টাম্পিংয়ের পাশাপাশি মেহেদি হাসান মিরাজের চোখ জুড়ানো রান আউট। বিষয়গুলোই প্রমাণ করে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ দলের উন্নতি।
বাংলাদেশের ফিল্ডিং মিসের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে কয়েক বছর ধরেই চলছে একের পর এক সমালোচনা। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসে বদলেছে ফিল্ডিংয়ের পরিস্থিতি। এই উন্নতির পর অধিনায়ক সাকিবের স্বপ্ন এখন এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দলে পরিণত হওয়া। সেই চেষ্টাটা দেখা গেছে তরুণদের মধ্যেও।
এই যেমন শেষ টি-টোয়েন্টিতে তৌহিদ হৃদয় হাতে পাবেন না জেনেও লাফ দিয়েছিলেন ক্যাচ নিতে। ক্যাচ নিতে না পারলেও কমিয়ে দেন বলের গতি। শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে একটি ক্যাচও মিস করেনি বাংলাদেশ। এমনকি বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে দারুণ কিছু ফিল্ডিং চোখে পড়েছিল। চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একটি ছক্কা বাঁচিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লাফ দিয়ে বাউন্ডারির ওপার থেকে বল মাঠের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। যদিও বলটা তালুবন্দি করতে পারেননি রনি তালুকদার।
প্রথম দুই ম্যাচে কোনো ক্যাচ মিস না করা বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিস করেছিল তিন তিনটি ক্যাচ। এর মধ্যে অধিনায়ক সাকিব অবশ্য ফেলেছেন একটি সহজ ক্যাচ। তবু ওই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের প্রশংসা কুড়িয়েছেন শান্ত। একা হাতে চট্টগ্রামে ওই ম্যাচে নেন তিন তিনটি ক্যাচ।
এ ছাড়া মিরাজের রান আউট ও লিটনের স্টাম্পিং চোখে লাগার মতো। মিরাজের দূর থেকে থ্রো করে বাটলারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছিলেন। তার ওই রান আউট অনেকাংশেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তানভীর ইসলামের বলে ফিল সল্টকে স্টাম্পিং করেছিলেন লিটন। বল হাতে পাওয়ার পর স্টাম্পে লাগাতে সময় নেন মাত্র ০.১৪ সেকেন্ড। এর থেকে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের কেউ স্টাম্পিং করেছেন কি না সেটা অবশ্য এখনও ঠিকমতো জানা যায়নি।
শুধু স্টাম্পিং না, উইকেটের পেছনে বারবারই নিজেকে প্রমাণ করেছেন লিটন দাস। মুস্তাফিজের ধীরগতির বাউন্সার ডেভিড মালানের ব্যাটে লেগে চলে যায় লিটনের হাতে। বলটি লিটনের হাত থেকে সহজেই বের হয়ে যেতে পারত। কিন্তু তার বুদ্ধিদীপ্ততায় সেটা আর হয়নি। এভাবেই ফিল্ডিংয়ে ছোট ছোট জায়গায় ভুলগুলো কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। এই কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিল্ডিং নিয়ে ছিল না কোনো সমালোচনা।