প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৮ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৪ পিএম
কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের কাইস আহমেদ বুঝি সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ করবেন। ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখালেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়লেন আফগান লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না। পিএসএলে মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে ৫১৫ রানের ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ৯ রানে হেরেছে কোয়েটা, ২৬২ রানের লক্ষ্যে জমা করেছে ২৫৩ রান। কাইস সেখানে গড়েছেন লজ্জার এক রেকর্ড। এক ইনিংসে খেয়েছেন ৯টি ছক্কা, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এত বেশি ছক্কা আর কোনো বোলার খায়নি।
লজ্জাজনক বিশ্বরেকর্ড গড়তে কাইস পেছনে ফেলেছেন নামিবিয়ার ব্রেডেল উইসেলস, শ্রীলঙ্কার আকিলা ধনঞ্জয়া, ডার্বিশায়ারের ম্য়াটি ম্যাককিয়েরনান এবং সাবেক কোয়েটার অলরাউন্ডার ও পাকিস্তানের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে।
মুলতানের বিপক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭৭ রান খরচ করেন কাইস, নেন দুটি উইকেট। তাকে চারবার বাউন্ডারি ও নয়বার ছক্কায় উড়ায় প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। ৪টি বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা খরচ করেন। এক ইনিংসে ৯ ছক্কা খাওয়াটি এখন নতুন বিশ্বরেকর্ড। যুগ্মভাবে এই হতাশাজনক রেকর্ডটি আগে ছিল উইসেলস, ধনঞ্জয়া, ম্যাটি ও আফ্রিদির নামে। তারা সবাই হজম করেছিলেন আটটি করে ছক্কা। কাইসের লজ্জার রেকর্ড নয় শুধু, আরও একগাদা রেকর্ড হয়েছে পিএসএলের ২৮ নম্বর ম্যাচটিতে।
রানবন্যার ম্যাচটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ম্যাচের দুই ইনিংসে ২৫০ বা তারও বেশি রান উঠেছে। তাছাড়া ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ওঠে ৫১৫ রান, যা বিশ্বরেকর্ড। পাকিস্তান সুপার লিগে দুইশ ছাড়ানো রানও যেন নিরাপদ নয়! পরপর দুটি ম্যাচে ২৪০ ও ২৪২ রান তুলে পরাজিত হয়েছে পেশোয়ার জালমি। এবার মুলতান সুলতানসের ২৬২ রান তাড়া করে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় কোয়েটা।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি হাঁকানো কোহলির একগাদা রেকর্ড
টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে মুলতান। পাকিস্তান সুপার লিগের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ দলগত ইনিংসের সর্বকালীন রেকর্ড। ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা উসমান খান মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পিএসএলের ইতিহাসে এটিই সব থেকে কম বলে সেঞ্চুরির সর্বকালীন রেকর্ড। তিনি ভেঙে দেন রিলি রুশোর দ্রুততম শতকের রেকর্ড। একদিন আগে পেশোয়ারের বিপক্ষে ৪১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন রিলি।
৩৬ বলে ধ্বংসাত্মক শতরান করা উসমানের হাতে ওঠেনি ম্যাচসেরার পুরস্কার
উসমান খান শেষমেশ ১২টি বাউন্ডারি ও নয়টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ১২০ রান করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন দলটির অধিনায়ক রিজওয়ান। টিম ডেভিড ২৫ বলে ৪৩ ও পোলার্ড ১৪ বলে ২৩ রান করেন। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রান তোলে কোয়েটা। বড় সংগ্রহের ম্যাচও হারতে হারতে জিতে যায় মুলতান। কোয়েটার হয়ে ওমর ইউসুফ ৩৬ বলে করেন ৬৭ রান। ইফতিকার আহমেদের ৩১ বলে ৫৩, মার্টিন গাপ্টিলের ৩৭, উমর আকমল ২৮,ও কাইস আহমেদ ১৭ শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চ ছড়ায়। ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্যে ৪৭ রান খরচ করে ৫টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। ধ্বংসাত্মক শতরান করা উসমানকে টপকে ম্যাচের সেরাও বনেন মুলতানের ২১বর্ষী পেসার।