প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩ ১১:২০ এএম
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৬ পিএম
বিশ্বকাপ একটা স্বপ্ন, একটা সাধনা। তিন যুগ ধরে যে সাধনা করেছিল আর্জেন্টাইনরা। অবশেষে কাতার বিশ্বকাপে এসে ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে আলবিসেলেস্তেদের। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে গোলবারের নিচে অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে একজন সামলেছেন সব বিপদ। কঠিন সময়ে তার বিশ্বস্ত হাত টেনে তুলেছে আর্জেন্টিনাকে। ফাইনালের কঠিন লড়াইয়েও বেইমানি করেনি তার গ্লাভস জোড়া। বলছিলাম আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম রূপকার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের কথা।
যে গ্লাভস দুটো দিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান, সেটি তার কাছে সবচেয়ে আপন হওয়ার কথা। যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখার কথা আজীবন। কিন্তু তিনি তা করলেন না। বরাবরের মতোই হাঁটলেন ভিন্ন পথে। এবারও দেশের বিপদে ত্রাতা হয়ে উঠলেন তিনি। বাড়িয়ে দিলেন সাহায্যের হাত। সেভ করতে চাইলেন হাজারো শিশুর জীবন। ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে নিলামে তুললেন প্রিয় গ্লাভস জোড়া। গতকাল সেই গ্লাভস জোড়া বিক্রিও হয়েছে নিলামে। শুক্রবার ৪৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয় তার গ্লাভস। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম পড়েছে ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে টাইব্রেকারে মার্তিনেজ যে গ্লাভস জোড়া পরেছিলেন, শুক্রবার তা নিলামে ৪৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। এ টাকা পাবে আর্জেন্টিনার গ্রারাহান হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ড। দেশটিতে শিশুদের প্রধান হাসপাতাল এটি। সেই হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ডে টাকাটা দেওয়া হবে।
আর্জেন্টিনার পেডিয়াট্রিক ফাউন্ডেশন ইনস্টাগ্রামে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ‘গ্রারাহানের ছেলেদের সাহায্যের জন্য দিবুর গ্লাভস ৪৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে।’
শুক্রবার গ্লাভস জোড়া নিলামে তোলার সময় ইংল্যান্ড থেকে ভিডিওকলে যোগ দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের গ্লাভস দান করে সাহায্যের সুযোগ পাওয়ায় আর দ্বিধা করিনি। কারণ এতে ছেলেদের কল্যাণ হবে। বিশ্বকাপ ফাইনাল তো আর প্রতিদিন হয় না, তাই গ্লাভস জোড়া বিশেষ কিছু। কিন্তু আমার ঘরে এটা ঝুলে থাকার চেয়ে শিশুদের বেশি সাহায্য করবে।’ এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গ্লাভস জোড়া নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়ে গ্লাভসে অটোগ্রাফও দেন তিনি।