প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩৩ এএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:২৫ এএম
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারোনায় কমপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিততে হতো পিএসজিকে। বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে ফল এলো উল্টো। নিজেদের ডেরায় দাপুটে ফুটবল খেলে মেসি-এমবাপেদের বিদায় নিশ্চিত করেছে বাভারিয়ানরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতেই থেমেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যদের যাত্রা।
ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ে আগের লেগে পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল প্যারিসের ক্লাবটি। জার্মান জায়ান্টদের ঘরের মাঠে এসে দেখেছে ২-০ ব্যবধানের হার। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আট অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে জুলিয়ান নাগেলসামের দল।
বৃহস্পতিবার রাতে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও গোলে শট এবং আক্রমণে দাপট দেখিয়েছে বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। ৪৫ শতাংশ বল দখলে রেখে আটটি শটের পাঁচটি রাখে লক্ষ্যে। জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে তিনবার ফাঁকি দিয়ে বলও জালে জড়ায়। অফসাইডের কারণে একটি গোল বাতিল হলেও চুপো মোটিংয়ের পর সার্জিও গার্নাবের গোল বায়ার্নের পরের ধাপ নিশ্চিত করে। মেসি-এমবাপেকে বোতলবন্দি করা রাতে মোটে ছয়টি শট নেয় পিএসজি, লক্ষ্যে থাকে চারটি।
বল দখলে ধুঁকছিলেন মেসি, ছিলেন বোতলবন্দি
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখিয়েছে মূলত পিএসজি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধার বাড়িয়েছে বায়ার্ন। মাঝমাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন জামাল মুসিয়ালা। পরিসংখ্যান বলছে, নকআউটের প্রথম পর্বে বায়ার্ন জিতলে দ্বিতীয় লেগে তাদের হারানো কঠিন। পিএসজিও তা দেখেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ২২ নকআউটের মাত্র দুটিতে হেরেছিল বায়ার্ন। আজ এগিয়ে থাকা ছাড়াও শক্তিসামর্থ্যে ফেভারিট ছিল জার্মান জায়ান্টরা।
সেই ফেভারিটের প্রতিফলন মাঠে দেখিয়েছে জামাল-মুলাররা। খেলার ২৪ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত পিএসজি। কিন্তু সেখানে বাদ সেধেছেন ডি লিট। ভিতিনহার বাড়ানো শট একদম শেষ সময়ে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন। দুই দল বিরতিতেও যায় গোলশূন্য প্রথমার্থ পার করে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বল জালে জড়িয়ে দেয় বায়ার্ন। ৫২ মিনিটে মুসিয়ালার বাড়ানো বল দারুণ হালকা ছোঁয়ায় জালে জড়ান চুপো মটিং। কিন্তু অফসাইডের গেরোতে সেটি আটকা পড়ে। তবে লিড বাড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি বায়ার্ন। গোরেটজাকার পাস ধরে ম্যাচের প্রথম গোল আনেন চুপো মোটিং। চলতি মৌসুমে এটি তার চতুর্থ গোল।
খেলার ৮৯ মিনিটে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার আশায় শেষ পেরেক ঠুকে দেন সার্জিও গার্নাবে। জোয়াও কানসেলোর বল নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে পিএসজির ডি বক্সে ঢোকে গার্নাবে। জোরালো শট নিতে গিয়ে পড়েও যান। তবে ততক্ষণে কাজের কাজ হয়ে গেছে, দোন্নারুমাকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়েছে জালে। এরপর খেলা অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট চললেও স্কোরলাইন পরিবর্তন হয়নি। ২-০ গোলের জয়ে ৩ গোলে এগিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। তারকাঠাসা দল নিয়েও আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নভঙ্গ পিএসজির।