প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৫ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩১ পিএম
সমীকরণের খেরোখাতার হিসাব স্রেফ জয়-পরাজয় ছাপিয়ে চলে এসেছে কিছু বাধ্যবাধকতা। বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে শুধু জিতলেই হবে না, পিএসজিকে রাখতে হবে অন্তত এক গোলের ব্যবধান। সেটি করতে হলে আজ রাতে অন্তত দুটি গোল বেশি করতে হবে মেসি-এমবাপেদের। পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা প্যারিসের ক্লাবটিকে বাভারিয়ানদের বিপক্ষে ছাড়াও লড়ার পাশাপাশি খুঁজতে হবে একগাদা প্রশ্নের উত্তর—তবেই তো মিলবে শেষ আটের টিকিট। জিইয়ে থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার আশাটাও।
কিন্তু শক্তি-সামর্থ্য আর পরিসংখ্যান বিচারে পিছিয়ে থাকবে পিএসজি। ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের দল কেন জার্মানি থেকে জয় অর্থাৎ কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটতে পারবে না, তার আছে বেশ কিছু যৌক্তিক কারণ। খেরোখাতায় কাটাকুটি শেষে দেখে নেওয়া যাক কারণগুলো, ঠিক কী যেসব কারণে হারবে মেসি-এমবাপেরা...
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব দুর্দান্তভাবে উতরে যাওয়ার পর বায়ার্ন মিউনিখ কোচ মজা করে বলেছিলেন, ‘আমরা এত দুর্দান্তভাবে গ্রুপ পর্ব পার করলাম, কিন্তু পুরস্কারটা কই?’ বাভারিয়ান কোচের পুরস্কার যদি সত্যিই পেতেন তাহলে ঝুলিটা বেশ পূর্ণ থাকত। নাগেলসাম শিরোপার স্বাদ না বায়ার্নের ফর্ম অসাধারণ। বাভারিয়ানরা তার দায়িত্বে ১৭টি ইউরোপীয় মঞ্চে হেরেছে মাত্র তিনটিতে। প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ৫০ গোল, এ সময়ে নিজেরা জাল অক্ষত রাখতে পারেননি নয়বার। ইউরোপের মঞ্চে তাই বলা চলে বায়ার্ন খুব একটা হারে না। আর সেটি যদি আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা হয়, তাহলে বায়ার্নকে পরাস্ত করা আদপে কঠিন!
বার্সেলোনা, ইন্তার মিলান ও ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে ছয় ম্যাচের সব কটিতে হারিয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। শেষ চার বছরে তিনবার গ্রুপ পর্বের সব কটিতে জিতেছে দুর্দান্ত ধারাবাহিক দলটি। পিএসজি বরং এক জায়গায় আশা খুঁজতে পারে। সবশেষ ৫০টি ঘরের মাঠের ম্যাচে মাত্র ছয়টিতে হেরেছে বায়ার্ন, ২০২০-২১ সালে সবশেষ জিতেছিল পিএসজি। কিন্তু ইউরোপ সেরার মঞ্চের শেষ ৩১ ম্যাচে নিজেদের মাঠে মাত্র একটিতে হেরে অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন। বাভারিয়ানদের থেকে জয় নিয়ে ফিরতে হলে বাঙ্কারটি আগে ধসাতে হবে মেসি-এমবাপেদের।
বুন্দেসলিগার একক আধিপত্য দেখিয়ে চলা বায়ার্নের সবচেয়ে শক্তির জায়গা তাদের আক্রমণ। জার্মানির লিগের ২৩ ম্যাচে ৬৬ বার জাল খুঁজে পেয়েছে দলটি। লক্ষ্যে শট রাখায়ও পটু বায়ার্ন। প্রতি ম্যাচে গড়ে ১৯ বার গোলে শট নেন নাগেলসামের শিষ্যরা। ক্রিস্তোফ গালতিয়ের শিষ্যদের এসবও রুখতে হবে। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় সামলাতে হবে ইউরোপের সব থেকে প্রোফাইলিক আক্রমণ। নাগেলসামের দলের এরিক চোপো মোটিং (১৬), জামাল মুসিয়ালা (১৫) লিওরো সানে (১২)—তিনজন আছেন ইউরোপের মঞ্চে গোল করার ও করানোর শীর্ষ চারে, যারা শেষ ১৪ ম্যাচে অন্তত ১০টি গোল ও সাতটি অ্যাসিস্ট করেছেন। পিএসজির মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন সার্জি গার্নাবে, কিংসলে কোমান ও সাদিও মানেও। তাছাড়া থমাস মুলার, জসুয়া কিমমিচ, বেঞ্জামিন পাভার্ড ও ম্যাথিয়াস টেনও আছেন সেরা ছন্দে। বায়ার্ন মিউনিখের ইতিহাস কিংবা দলের গভীরতায়ও নজর দিতে হবে ধুঁকতে থাকা পিএসজিকে।