মেসির সেরা ভোট পাননি এমবাপে, রোনালদো তো ভোটই দেননি

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়েছেন ভুলতে যাওয়া বিশ্ব শিরোপা জয়ের স্বাদ। তাইতো ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার বড় দাবিদার ছিলেন লিওনেল মেসি। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। ফিফা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন এই ফুটবল জাদুকর।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট ও সব মিলিয়ে সপ্তমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা খেতাব জিতলেন বিশ্বজয়ী এই ফুটবলার।

বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেন কাইলিয়ান এমবাপেও। শিরোপা জিততে না পারলেও হ্যাটট্রিক হাঁকিয়ে ফাইনালে নজর কাড়েন ফরাসি এই তারকা ফরোয়ার্ড। অ্যাওয়ার্ড জয়ের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন তিনি। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এ পুরস্কার জয়ের লড়াইয়ে এমবাপে হেরে যান মেসির কাছে।

আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে মেসিও ভোট দিয়েছেন। তবে তিনি নিজেকে ভোট দিতে পারেননি। কারণ এটা নিয়মের মধ্যে নেই। তবে মেসি প্রথম ভোটটা দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমারকে। যিনি কি না তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ই ছিলেন না। শুধু বন্ধুত্বের খাতিরেই নিজের ক্লাব সতীর্থ নেইমারকে ভোট দেন মেসি। আর শেষ তিনে থেকেও মেসির সেরা ভোটটা পাননি এমবাপে। যদিও মেসি ও নেইমারের সঙ্গে এই ফরাসি তারকা খেলেন পিএসজিতেই।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। মেসি দ্বিতীয় ভোটটাও এমবাপেকে দেননি। দ্বিতীয় সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিয়েছেন একসময়কার শত্রুদল রিয়াল মাদ্রিদের তারকা করিম বেনজেমাকে। যিনিও ছিলেন তিনজনের তালিকায়। তবে একেবারে নিরাশও করেননি। মেসি তৃতীয় ভোটটা দিয়েছেন এমবাপেকে। ক্লাবে মেসির সঙ্গে যে এমবাপের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না, সেটাই প্রমাণ করে দিল এ পুরো ব্যাপারটা।

তবে সবাইকে অবাক করেছেন মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ এই ফুটবল মহাতারকা ভোটই দেননি। রোনালদো পর্তুগালের অধিনায়ক হলেও তার বদলে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার বাছাইয়ে ভোট দিয়েছেন পেপে। তিনি পুরোনো বার্সা প্রতিদ্বন্দ্বী মেসিকে সেরা তিনেই রাখেননি। পর্তুগালের রক্ষণের এই তারকা ভোট দেন এমবাপে, লুকা মদ্রিচ আর করিম বেনজেমাকে।