আফতাব আহমেদ
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:০৪ পিএম
ব্যাটে-বলে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে দারুণ কার্যকর মঈন আলি। নিজের দিনে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখা মঈন আলিকে কীভাবে আটকাবে বাংলাদেশ? ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে দারুণ কার্যকর মঈনের ব্যাট। তাহলে তাকে আটকানোর উপায়?
আমার মনে হয় তাকে এবং ইংল্যান্ডকে এই সিরিজে আটকানোর জন্য বাংলাদেশ সেই চিরায়িত স্পিন কৌশলই বেছে নেবে। তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডের জন্য সম্ভবত স্পিন উইকেটই অপেক্ষা করছে। বিপিএলে মঈনের খেলার অভিজ্ঞতা আছে মানছি। কিন্তু এই সিরিজে ধীরগতির উইকেট হলে মঈন আলির সেই অভিজ্ঞতার সুবিধা তেমন পাবে না ইংলিশরা।
সাম্প্রতিক সময়ে খেলার ধরন পুরোপুরিই বদলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। দ্রুতগতিতে রান তোলাই এখন ইংলিশদের খেলার ধরন। ইংল্যান্ডকে আটকাতে তাই ধীরগতির উইকেটের আপাত কোনো বিকল্প দেখছি না আমি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো ইংল্যান্ড টিমের সবাই জানে, কীভাবে খেলতে হবে। খেলার মোটিভটা কী। ওরা ওয়ার্ল্ডে এখন সবচেয়ে ফাস্ট ক্রিকেট খেলে। ওরা টি-টোয়েন্টি যেভাবে খেলে, সেভাবে টেস্টে একদিনে ৫০০ রান করে। ওরা এতই কুইক ক্রিকেট খেলে। ওদের জন্য উইকেটটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেখলাম মিরপুরের উইকেটের ওপরে মরা ঘাস ছিটানো হচ্ছে। উইকেটটা মনে হয় একটু স্লো হবে। এটা আমাদের জন্য ভালো হবে, কারণ স্লো উইকেটে তাদের শটস খেলার যে স্বাচ্ছন্দ্য সেটা নষ্ট হবে। সেই শটসটা একটু কমে আসবে।
মানছি এখানকার উইকেট সম্পর্কে মঈনের ধারণা অবশ্যই কিছুটা আছে। তবে বিপিএলে যে উইকেট ছিল, এখন এই সিরিজেও সেই উইকেট হবে না বলে মনে হয়। উইকেট কিছুটা পরিবর্তন হবে, সেটাই কাজে লাগাতে হবে।
মঈন আলি কিংবা ইংলিশ শিবিরের অন্য কেউ ভালো উইকেট পেলে তাতে বাংলাদেশ বিপদে পড়বে আফতাব। মঈন আলি বলেন বা অন্য ব্যাটার বলেন, সবাইকে এইভাবে স্পিন ট্র্যাপে ফেলে আটকানো সম্ভব আর ট্রু উইকেট দিলে তো আমরা বিপদে পড়ে যাব।