প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৭ এএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:০৬ পিএম
চতুর্থ দিনেই আভাস মিলছিল শেষ দিনের নাটকীয়তার। সেই নাটকীয়তা এতোটা রং ছড়াবে ভাবেনি হয়তো কেউ। ওয়েলিংটন টেস্টে মিলেছে সেটিরই দেখা। টেস্ট ইতিহাসে যা বিরল। ৩০ বছর পর ইংল্যান্ডকে ১ রানে হারিয়ে টেস্ট জিতেছে নিউজিল্যান্ড। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৩ সালে। সেবার অ্যাডিলেডে ১ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পেন্ডুলামের মতো দোদুল্যমান টেস্টের ফল নিজেদের দিকে আনতে শেষ দিনে ব্লাক ক্যাপসদের প্রয়োজন ছিল বাকি নয় উইকেটে। অন্যদিকে সিরিজ জিততে ২১০ রান করতে হতো স্টোকসদের। দিনভর সেই নাটকীয়তায় দেখেছে ওয়েলিংটনের দর্শকরা। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টেছে ম্যাচের গতিপথ। যার শেষ দৃশ্যনাট্যে লেখা হয়েছে কিউই রূপকথা। আর তাতেই মান বেঁচেছে কিউদের। সিরিজে টানা গেছে ১-১ সমতা।
শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে আগের দিন ২৩ রানে থাকা বেন ডাকেন ও ১ রানে থাকা অলিয়ে রবিনসন। তবে দিনের শুরুতেই রবিনসনকে ফেরান সাউদি। ডাকেনও ফেরেন দ্রুতই। তখনই মিলছিল জয়ের আভাস। তবে প্রতিরোধ গড়ে জো রুট। স্টোকসকে নিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলে। স্টোকস ৩৩ রানে ফেরার পরপরই ফিরে যান সেঞ্চুরির পথে থাকা রুট। ৯৫ রানে ফেরেন তিনি। দৃশ্যপটে রদবদল। এরপর লড়াইটা চালিয়ে যান বেন ফোকস। তবে সঙ্গ পাননি কারও। অবশেষে তিনিও ফিরেন ৩৫ রানে। এরপর খুব বেশি পথ বাকিও ছিল না। জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে তখন সফরকারীরা।
তখন সেই ৭ রানকেই মনে হচ্ছিল পাহাড়সম। ৭ রানের সেই যাত্রাটা শেষ করতে পারেননি অ্যান্ডারসনও। ২৫৬ রানে নেইল ওয়াগনারের বলে ব্লান্ডেলের হাতে ক্যাচ তুলে ওয়েলিংটন টেস্টে আত্মহুতি দেন তিনি। শেষ হয় ম্যাচ। যেখানে ১ রানে ঐতিহাসিক জয় পায় কিউইরা।
জয়ের পথে ওয়াগনারের শিকার ৪ উইকেট। সাউদি নিয়েছেন ৩ উইকেট। হেনরির শিকার ২টি।