প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৪ পিএম
সেই জৌলুস আর নেই চেলসির; প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিল অন্তত সে কথাই বলে। ১০ নম্বরে অবস্থান দলটির। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে হার। এ ছাড়া সবশেষ ১৪ ম্যাচে জয় মোটে দুটি। ভাগ্য পাল্টায়নি সদ্য সমাপ্ত দলবদলে সবচেয়ে বেশি টাকা ব্যয় করেও। এত কিছুর পরও কদিন আগেই দলটির কোচ গ্রাহাম পটার বলেছিলেন, দলের বিপর্যয়ে আমার কোনো দায় নেই। পটারের এ কথাতেই যত ক্ষোভ দলটির সমর্থকদের। সমর্থকদের একটা বড় অংশ মনে করেন গ্রাহাম পটারের কৌশলই দলের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। সে কারণেই দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছেন তারা।
আগামীকাল প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে টটেনহ্যামের বিপক্ষে নামবে তার দল। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যাচ পরিকল্পনার বদলে বেশি কথা বলতে হয়েছে মৃত্যুভয় নিয়েই। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সম্পদ ও জীবনের ক্রাইসিসে ভুগছি। আমি মেইলে এমন বার্তা পেয়েছি, যা ভালো কিছু নয়। সেটা হচ্ছে আমার মৃত্যু চাওয়া, আমার সন্তানদের মৃত্যু কামনা। এমন কিছু পাওয়া নিশ্চয় আনন্দের ব্যাপার নয়।’
সমর্থকদের এমন বার্তায় ভীত তিনি। এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে আমি পাত্তা দিচ্ছি না; কিন্তু সেটা মিথ্যা বলা হবে। সবাই চিন্তা করে যে মানুষ কী ভাবছে? কারণ, আমরা বেশ শক্তভাবে সমাজের সঙ্গে যুক্ত। আপনারা আমার পরিবারকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন যে আমার এবং তাদের জন্য জীবন কেমন? একেবারেই ভালো কিছু নয়। যদি আপনি কাজে যান এবং কেউ আপনাকে নিয়ে গালিগালাজ করে, সেটা নিশ্চয় আনন্দের কিছু হওয়ার কথা নয়।’
টানা ম্যাচ হার প্রসঙ্গে মিডিয়ার ওপর দায় চাপিয়েছেন পটার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত চার মাস ধরেই আমরা বেশ প্রেশারে আছি। যার পেছনে মিডিয়ারও হাত রয়েছে। কিন্তু এটা মোটেই সহজ ব্যাপার নয়। আপনার পরিবার ভুগছে। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিত্বও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা অবশ্যই কঠিন। আপনি ভুগছেন। আপনি হতাশ হয়ে পড়ছেন। আপনি যখন একা থাকেন, তখন পরিবারের সঙ্গে আসল আবেগটা দেখাতে পারেন।’