প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৩৬ পিএম
জোব্বা পরে তলোয়ার হাতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কাঁধে সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা। যেন খানিক পরেই শত্রুর বুকে এঁকে দেবেন পদচিহ্ন। আপাত দৃষ্টিতে স্বপ্ন মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সৌদিয়ানদের সেই স্বপ্নই পূরণ করলেন রোনালদো। তিনি নিজেও অবশ্য উপভোগ করেছেন সময়টা। সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের চোখেমুখেও ছিল প্রশান্তির ছাপ। বিশেষ সেই উদযাপনের মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভক্তদের কাছে শেয়ার করেছেন ৩৮ বছর বয়সি এই তারকা।
দিনটি ছিল দেশটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৭২৭ সালের এই দিনে ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠা লাভ করে সৌদি আরব। বিশেষ এই দিনটিকে পালন করা হয় দেশটির জাতীয় দিবস হিসেবে। এমন দিনটিকে তাই ভিন্নরকম উদযাপনে রাঙিয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী। এদিন ইউরোপীয় সাজসজ্জা ছেড়ে সিআর সেভেন গায়ে জড়ান ঐতিহ্যবাহী আরবীয় পোশাক। সেই সঙ্গে তলোয়ার হাতে আরদাহ নাচেও যোগ দেন রোনালদো। আল নাসরের অফিসিয়াল টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, সৌদি আরবের বিশেষ এক কফিও পান করছেন তিনি। সেই সঙ্গে পরে আছেন জোব্বা। এদিন বেশ কিছু ব্যতিক্রমী পোশাকেও দেখা গেছে তাকে। নেভি ব্লু ও সোনালি প্রিন্টের ঐতিহ্যবাহী দাগলাহও পরেছিলেন রোনালদো।
বিশেষ এই দিনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে টুইটারে রোনালদো তার ভক্তদের উদ্দেশে লেখেন, ‘সৌদি আরবকে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনেক শুভেচ্ছা। আল নাসরে এই উদযাপনে থাকতে পারার অভিজ্ঞতা ছিল খুবই বিশেষ।’
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে রেকর্ড ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি পারিশ্রমিকে দেশটির ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন পর্তুগিজ তারকা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজাকে বরণ করে নিতেও দেখা গেছে বাড়তি উন্মাদনা। প্যারিস থেকে কোটি টাকা খরচ করে উড়িয়ে আনা হয় তারকাঠাসা দল পিএসজিকে। যেখানে মেসি-নেইমার-এমবাপেদের বিপক্ষে রাজকীয় অভিষেক করানো হয় রোনালদোর। যদিও অনেকেই এটিকে মেসি-রোনালোর শেষ দেখা বলছেন। সেই ম্যাচে গোল করে অভিষেক রাঙান রোনালদো। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেন দ্রুতই। শুরুর দিকে গোল না পাওয়ায় বেশ সমালোচিতও হতে হয়েছে তাকে।
তবে বরাবরের মতো মাঠেই যার জবাবটা দিয়েছেন তিনি। আল ওয়েদার বিপক্ষে একাই করেন ৪ গোল। সমালোচকরা পায় উপযুক্ত জবাব। পরের ম্যাচে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন দুটি। সেই জয়েই সৌদি প্রো লিগের শীর্ষে উঠে তার দল। সে কারণেই হয়তো তার ওপর থেকে চাপ নেমে গেছে অনেকটা। আর তিনিও মেতেছেন সৌদির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে।