২০২৬ বিশ্বকাপ : মেসি আছেন না নেই

কাতার বিশ্বকাপে এসে অর্জনের ঝুলিটা পূর্ণ হয়েছে লিওনেল মেসির। এখানেই আর্জেন্টাইন মহাতারকা পেয়েছেন অমৃতের স্বাদ। স্বর্ণাক্ষরে নয়; হাজারো ভক্তের হৃদয়ে লেখা হয়েছে এই আর্জেন্টাইনের নাম। যে নাম রয়ে যাবে যুগ থেকে যুগান্তর। সে কারণেই হয়তো ৩৫ বছর পেরিয়ে যেতে শুরু করলেও এই কিংবদন্তিকে মাঠেই দেখতে চান তার ভক্তরা। তাদের দাবি, আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠ মাতাক তাদের প্রিয় তারকা।

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই মেসির বিদায় দেখে ফেলেছিল অনেকেই। যদিও মেসি থেকে গেছেন; বলেননি অবসর। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে তার ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে। যদিও এ নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। যদিও মেসির বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া চান মেসি থাকুক ২০২৬ বিশ্বকাপেও। সেজন্য তাকে অনুরোধও জানাবেন তিনি।

ডি মারিয়া বলেন, ‘মেসিকে পরের বিশ্বকাপে থাকতেই হবে। সে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। আমি আর পরের বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখি না। কোপা আমেরিকা পাওয়াটা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার হবে। আমি এটা পেতে পছন্দ করব। সেখানে চেষ্টা করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

মেসিকে ইতিহাসের সেরা দাবি করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ডি মারিয়া আরও বলেন, ‘৭টি ব্যালন ডি’অর, বিশ্বকাপ, ফিনালাসিমা, কোপা আমেরিকা, বার্সেলোনার হয়ে সবকিছু জেতা। সে সেরা এবং সেখানেই সে থাকবে।’

ডিয়েগো ম্যারাডোনা না মেসিÑ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিয়েগো হচ্ছে ডিয়েগো। তবে আমার কাছে মেসিই সেরা। ডিয়েগো ফাইনালে থাকলে সেটা দারুণ ব্যাপার হতো। মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখে সে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ত।’

ডি মারিয়া মেসিকে ২০২৬ বিশ্বকাপে দেখলেও তা দেখছেন না আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি মারিও কেম্পেস। শুক্রবার টিএনটি স্পোর্টস আর্জেন্টিনাকে তিনি বলেন, ‘আমি পিচে যা দেখছি তা থেকে বলতে পারি তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রম করেছিলেন। এবং তিনি জিতেছেন। কিন্তু এখন তার দলে আছে; তার বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় নেই। বিশ্বকাপের সময় তিনি যা করেছেন তার জন্য কোনো অতিরিক্ত অনুপ্রেরণা নেই। তবে তিনি এমন একটি লিগে আছেন যা সেরাদের মধ্যে একটি নয়, যদিও তিনি সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যদি মেসি সেখানে সাড়ে তিন বছর থাকতে পারেন তবে তিনি আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে পারেন।’