প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৪ এএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৯ পিএম
প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। বিপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হৃদয় ব্যাট করেছেন ১৪০.৪১ স্ট্রাইক রেট ও ৩৬.৬৩ গড়ে। তার ব্যাটে এসেছে ৪০৩ রান। দলে ডাক পাওয়ার পর খুশি তিনি। তবে এখনই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জাতীয় দল কিংবা পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে চান না। এদিকে বিপিএলে দারুণ ছন্দে থাকা পেসার রেজাউর রহমান রাজা দলে সুযোগ না পেয়ে হতাশ নন। বরং সামনে আরও ভালো করতে মুখিয়ে আছেন।
বৃহস্পতিবার বিপিএল ফাইনাল চলাকালীন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে ডাক পান তৌহিদ হৃদয়। ফাইনালের পর কিংবা পরের দিন শুক্রবারও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথা বলেননি তৌহিদ হৃদয়। প্রতিদিনের বাংলাদেশ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। জাতীয় দলের ক্যাম্পে যাওয়ার পর কথা বলব, সবার সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: সিলেটের ফাইনাল হারের পাঁচ কারণ
তৌহিদ হৃদয় কথা না বললেও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, গত দুই বছর ধরে নিয়মিত পারফরম্যান্স করায় তৌহিদ হৃদয়কে দলে নেওয়া হয়েছে। এখনই প্রস্তুত ধরে দলে ডাকা হয়নি তাকে। বরং জাতীয় দলের সঙ্গে রেখে প্রস্তুত করতেই মনোযোগী তারা।
এদিকে বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দারুণ ছন্দে থাকলেও রেজাউর রহমান রাজাকে ওয়ানডে দলে ডাকেনি বিসিবি। এতে অবশ্য হতাশ নন। বরং সামনে থাকা টুর্নামেন্টগুলোতে পারফর্ম করে এগিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘হতাশ না। কারণ এটা আমার হাতে নাই। নির্বাচকরা যাদেরকে ভালো মনে করছেন তাদেরকে নিয়েছেন। এটাই শেষ না। ভালো হইছে, আশা করি সামনে আরও ভালো করব। হতাশার কিছু না।’
আরও পড়ুন: ‘ও দারুণ ক্রিকেটার’
জাতীয় দলে ডাক না পাওয়া রাজা এখন নিজের ভুলগুলো শুধরাতে কাজ করবেন, ‘আমার ল্যাকিংসগুলো নিয়ে কাজ করব। কখন কোথায় সুযোগ পাব, সেটা নিয়ে চিন্তিত না। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে কাজ করব। এটাই চেষ্টা থাকবে।’
পাশাপাশি দারুণ বিপিএল কাটানোয় কোচের পাশাপাশি নিজেকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি। বলেন, ‘বিপিএলে রাজিন স্যার, নাজমুল স্যার, রাসেল স্যারদের সঙ্গে কাজ করেছি। তারা ও দলের সবাই অনেক সমর্থন দিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নিজেকে কৃতিত্ব দিতে চাই, নিজের উন্নতিতে কাজ করার চেষ্টা করেছি।’
বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে ৮ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা। বিপিএলের নবম আসরে যৌথভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। দেশি পেসারদের মধ্যে ছিলেন তিনে। তার ওপরে ছিলেন হাসান মাহমুদ ও রুবেল হোসেন। তারা দুজন শিকার করেছেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৪ উইকেট।