প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
বসুন্ধরা কিংস যখন থেকে বাংলাদেশ ফুটবলে পা রেখেছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল হয়ে গেছে একচেটিয়া। এক সময়ের সেরা আবাহনীসহ আর সব দল যেন এখানে নামে স্রেফ রানার্সআপ হতেই এসেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এবারও একই দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন হতে চলেছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে যে বসুন্ধরা পয়েন্ট ব্যবধানটা নিয়ে গেছে ১২-তে!
কাগজে কলমে ম্যাচটা ছিল আবাহনীর ‘হোম’ কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। তবে মাঠের লাল বিপ্লব দেখে ঠাহর করার উপায়ই ছিল না, ম্যাচটা আবাহনী না বসুন্ধরা, হচ্ছে কার ‘হোমে’।
গ্যালারির সমর্থনে পিছিয়ে থাকলেও মনোবলে ভাটা ছিল না আবাহনীর। কোচ মারিও লেমসের দল একটা বড় সময় আটকে রেখেছিলেন বসুন্ধরার তিন ব্রাজিলিয়ানকে। বক্সে রক্ষণের জটলা বাধিয়ে বসুন্ধরাকে জায়গাই ছাড়ছিল না আবাহনী। তবে ২৬ মিনিটে ঠিকই গোলটা আদায় করে নেয় শেষ তিনবারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। সেই গোলে ছোঁয়া আছে তিন ব্রাজিলিয়ানেরই। দরিয়েলতন থেকে পাওয়া পাসটা রবসন বাড়ান বক্সে থাকা মিগেল দামাসেনোকে। তার গোলে বসুন্ধরা এগিয়ে যায় ম্যাচে।
তবে আবাহনীও ছেড়ে কথা বলেনি বসুন্ধরাকে। গোল হজমের ১১ মিনিট পরই রেজাউল করিমের গোলে ফেরায় সমতা। আবাহনী যেন নিজেদের সেরাটা এই ম্যাচের জন্যই তুলে রেখেছিল। শুরু থেকেই শুনাচ্ছিল আক্রমণ।
সমতা ফেরানো গোলের পর পাল্লা দিয়ে বাড়ে আক্রমণও। বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল সামনে, তবে আবাহনী তা কাজে লাগাতে পারেনি। পুরো ম্যাচে আলো ছড়ানো দানিয়েল কলিন্দ্রেস ফাঁকা পোস্টে গোলটা পেলেন না।
সেই ভুলটাই যদি আবাহনীর শেষ ভুল হতো, তাহলে বোধহয় বর্তেই যেত কোচ মারিও লেমসের দল। অন্তত ড্রটা নিয়ে হলেও ফেরা যেত। তা হয়নি, ৭৭ মিনিটে সোহেল রানার ভুল পাসে আবাহনী বক্সের একটু ওপরে বল পেয়ে যান দরিয়েলতন। পাস বাড়ান মিগেলকে। সামনে থেকে ইউসেফ মোহামেদ তার টিকিটিরও নাগাল পাননি শেষমেশ, দামাসেনোর গোল বসুন্ধরাকে এনে দেয় টানা দশম জয়।