প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫২ পিএম
মারমার কাটকাট সংস্করণের বিপিএল নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। এই নেই, সেই নেই অভিযোগ তোলা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও পেরিয়ে গেছে আটটি আসর। নবম আসরের ফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটের মাসব্যাপী মহাযজ্ঞ। ঘুরে দেখা যাক আগের আট ফাইনাল কেমন ছিল, কীভাবে ফাইনালের পথে এসেছিল চ্যাম্পিয়ন দল।
আরও পড়ুন: বিপিএলের প্রাইজমানি কত?
আরও পড়ুন: শীর্ষে উঠেও আর্সেনালকেই টপার মানছেন গার্দিওলা
২০১২
ছয় দল নিয়ে বিপিএলের উদ্বোধনী আসরে বসেছিল তারকার মেলা। লিগ টেবিলের শীর্ষ তিন ও চারে থাকা ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স ও বরিশাল বার্নাসের মধ্যে ছিল আসরের প্রথম শিরোপার লড়াই। ব্রাড হগের বরিশাল টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকেছে, পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির স্পিন তোপে পড়েছিল অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। অধিনায়ক হগের ৫১ বলে ৭০ রানের ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান জমা করে বরিশাল। জবাবে মাশরাফির দল ৮ উইকেট ও ২৬ বল থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে। ইমরান নাজিরের ৪৩ বলে ৭৫ রান ও এনামুল হকের ৪৯ রান লড়াই একপেশে করে দেয়। প্রথম আসরের শিরোপা উঁচিয়ে উদযাপনে মাতে মাশরাফি মর্তুজার ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বার্নাস : ১৪০/৭ (ব্রাড হগ ৭০, আহমেদ শেহজাদ ২৮, শহীদ আফ্রিদি ২৩/৩, নাভিদ-উল-হক ২৪/২)।
ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স : ১৪৪/২ (ইমরান নাজির ৭৫, এনামুল ৪৯, আলাউদ্দিন বাবু ৯/১)।
ফল : গ্লাডিয়েটর্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ইমরান নাজির ৭৫ (৪৩), (ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স)।
টুর্নামেন্ট সেরা : সাকিব আল হাসান ২৮০ রান ও ১৫ উইকেট (খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস)।
২০১৩
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরেও চমক দেখিয়েছে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স। টুর্নামেন্টজুড়ে দাপুটে থাকা মাশরাফি মর্তুজার দল লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে আসে। আরেক ফাইনালিস্ট চিটাগং কিংসকে ১৭২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে থামিয়ে দেন দেড়শর অনেক আগে। ৪৩ রানে জিতে টানা দ্বিতীয় আসরের শিরোপা উদযাপনে মাতে মাশরাফির দল।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল হকের ৩৬ বলে ৫৮ রান ও সাকিবের ২৯ বলে ৪১ রানের তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যর্থ হলেও ৯ উইকেট হারিয়ে দল জমা করে ১৭২ রান। জবাব দিতে নেমে ওপেনার জেসন রয়ের ৪০ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ২৮ বলে ৪৪ রান বাদে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। আলফনসো থমাসের তোপ ও মোশাররফ হোসেনের ঘূর্ণিতে ১২৯ রান জমা করেই থেমে যায় চিটাগং।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স : ১৭২/৯ (আশরাফুল ২৪, এনামুল ৫৮, সাকিব ৪১, রুবেল ৪৪/৪, তাসকিন ২৮/২)।
চিটাগং কিংস : ১২৯/১০ (রয় ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৪৪, মোশাররফ ২৬/৩, থমাস ১৯/৩)।
ফল : গ্লাডিয়েটর্স ৪৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মোশাররফ হোসেন ৩/২৬ (ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স)।
টুর্নামেন্ট সেরা : সাকিব আল হাসান ৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট (ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স)।
২০১৫
আরেকটি শিরোপার নিঃশ্বাস দূরত্বে থামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে তৃতীয়বার ট্রফি উদযাপনে মাতেন মাশরাফি মর্তুজা। আগের দুবার ঢাকার হয়ে চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি তৃতীয় আসরের ফাইনাল বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রাঙান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে।
শিরোপার মঞ্চে টস হেরে ৪ উইকেট হারিয়ে বরিশাল জমা করে ১৫৬ রান। টপ অর্ডারের বাজে দিনে মিডল অর্ডারে হাল ধরেন শাহরিয়ার নাফীস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আনেন দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ। ১৫৬ রানের লক্ষ্য পেরোতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ভিক্টোরিয়ান্সদের। কায়েসের ফিফটি ও আহমেদ শেহজাদের ৩০ রানের পর শেষ পর্যন্ত সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ১৩ রানের। রোমাঞ্চকর ওভারে শেষ ৫ বলে শিরোপার প্রশ্নে দাড়ি টেনে দেন অলক কাপালি। ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হন মাশরাফি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বুলস : ১৫৬/৪ (নাফীস ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ৪৮, মাশরাফি ২৮/১)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৫৭/৭ (ইমরুল কায়েস ৫৩, কাপালি ৩৯, মাহমুদউল্লাহ ২৩/২, কেভিন কুপার ৩১/২)।
ফল : ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : অলক কাপালি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।
টুর্নামেন্ট সেরা : আসার জাহিদি ২১৫ রান ও ১৭ উইকেট (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।
২০১৬
বিপিএলের চতুর্থ আসরে নতুন নাম নিয়ে আসা ঢাকা ঘরে তোলে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা। ফাইনালে একপেশে লড়াইয়ে রাজশাহী কিংসকে ৫৬ রানে হারিয়ে শিরোপা উদযাপনে মাতে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা পড়ে ফরহাদ রেজার তোপে। বাজে দিনে ওপেনার এভিন লুইসের ৩১ বলে ৪৫ রানের পর পঞ্চম উইকেটে কুমার সাঙ্গাকারা আনেন ৩৬ রান। টপ, মিডল ও লোয়ারের বাকিদের ব্যর্থতার দিনে দেড়শ ছাড়াতে পারে ঢাকা।
জবাব দিতে সানজামুল ইসলাম ও আবু জায়েদের তোপে পড়ে ড্যারেন সামির দল। মুমিনুল, সাব্বির ও সামিত প্যাটেল বাদে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি বাকি কেউই। ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মুমিনুল। দল থামে ১০৩ রান জমা করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৫৯/৯ (লুইস ৪৫, সাঙ্গাকারা ৩৬, ফরহাদ রেজা ২৮/৩, প্যাটেল ৮/১)।
রাজশাহী কিংস : ১০৩/১০ (মুমিনুল ২৭, সাব্বির ২৬, আবু জায়েদ ১২/২, সানজামুল ১৭/২)।
ফল : ডায়নামাইটস ৫৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : কুমার সাঙ্গাকারা ৩৬ (৩৩) (ঢাকা ডায়নামাইটস)।
টুর্নামেন্ট সেরা : মাহমুদউল্লাহ ৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট (খুলনা টাইগার্স)।
২০১৭
ফাইনালের মতো পঞ্চম আসরের পুরো আলোও কেড়ে নেন ক্রিস গেইল। ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটারের তাণ্ডবে ফাইনালও একপেশে হয়ে যায়। ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাক টু ব্যাক শিরোপার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ৬৯ বলে ১৪৬ রানের ঝড়। মাশরাফি মর্তুজার রংপুর রাইডার্স ওই সেঞ্চুরিতে পায় বড় সংগ্রহ। জবাবে ইসুরু ও নাজমুলের তোপে দেড়শর আগে থামে সাকিব আল হাসানের ঢাকা।
শিরোপার সমীকরণের প্রথম ওভারে রংপুর পড়ে সাকিবের তোপে। বাকি সময় ছিল ঢাকার হতাশা। গেইলের ১৮ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ১৪৬ রানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যোগ করেন ৫১ রান।
জবাবে স্কোরবোর্ডে ১ রান আনতেই দুই টপ অর্ডারকে হারিয়ে ফেলে ঢাকা। চারে নেমে সাকিবের ২৬ রানের পর দলকে ১৪৯ রান পর্যন্ত টেনে দেন জহিরুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স : ২০৬/১ (গেইল ১৪৬, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৫১, সাকিব ২৬/১)।
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৪৯/৯ (সাকিব ২৬, জহিরুল ৫০, ইসুরু উদানা ২৫/২, নাজমুল ৮/২)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৫৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ক্রিস গেইল ১৪৬* (৬৯) (রংপুর রাইডার্স)।
টুর্নামেন্ট সেরা : ক্রিস গেইল ৪৮৫ রান (রংপুর রাইডার্স)।
২০১৮
সাকিব আল হাসানময় বিপিএলের ফাইনাল রাঙিয়ে দেন তামিম ইকবাল। টানা তৃতীয়বার ফাইনালে আসা ঢাকা ডায়নামাইটসকে ব্যর্থতায় ভাসায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফাইনালম্যান কিংবা ওয়ানম্যান আর্মি হয়ে তামিম খেলেন ৬১ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১০ বাউন্ডারি ও ১১ ছক্কার ইনিংসে ভর করে কুমিল্লা আনে ২০০ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ।
জবাবে উপুল থারাঙ্গার ঝড়ো শুরু এবং তিনে নামা রনি তালুকদারের ৩৮ বলে ৬৬ রানের তাণ্ডবে এক সময় সমীকরণ মিলিয়ে দিচ্ছিল। শেষদিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারানোয় ঢাকা ১৮২ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ৯ উইকেট হারিয়ে রোমাঞ্চ চড়ানো ফাইনালও আরেকবার হাতছাড়া হয় সাকিবের ঢাকার। পুরো টুর্নামেন্টে আলো কাড়া সাকিব হন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৯৯/৩ (তামিম ১৪১, এনামুল ২৪, রুবেল ৪৮/১, সাকিব ৪৫/১)।
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৮২/৯ (থারাঙ্গা ৪৮, রনি ৬৬, সাইফউদ্দিন ৩৮/২, ওয়াহাব রিয়াজ ২৮/৩)।
ফল : ভিক্টোরিয়ান্স ১৭ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : তামিম ইকবাল ১৪১ রান ও দুই ক্যাচ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।
টুর্নামেন্টসেরা : সাকিব আল হাসান ৩০১ রান ও ২৩ উইকেট (ঢাকা ডায়নামাইটস)।
২০১৯
বিপিএলের সপ্তম আসর বল ও ব্যাট হাতে রাঙিয়ে দেন রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটারের দুর্দান্ত পারফর্মে খুলনা টাইগার্স হেরে যায় তাদের দ্বিতীয় ফাইনাল। টস হেরে ইরফান শুক্কুরের ফিফটি, মোহাম্মদ নওয়াজ ও রাসেলের ঝড়ে রাজশাহী তোলে ১৭০ রান।
শিরোপার মঞ্চে বড় লক্ষ্যে নামা খুলনা টাইগার্স স্কোরবোর্ডে ১১ রান জমা করতেই হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার। পরে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। মাঝের দিকে শামসুর রহমানের ৪৩ বলে ৫২ রান ও রাইলি রুশোর ৩৭ রানে জয়ের আশা দেখলেও মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় দেড়শর আগে থামে। রংপুরের থেকে ২১ রান পেছনে থেমে শিরোপা হাতছাড়া হয় মুশফিকুরের খুলনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী রয়্যালস : ১৭০/৪ (ইরফান শুক্কুর ৫২, রাসেল ২৭, নওয়াজ ৪১, মোহাম্মদ আমির ৩৫/২, শহিদুল ২৩/১)।
খুলনা টাইগার্স : ১৪৯/৮ (শামসুর ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১, ইরফান ১৮/২, রাসেল ৩২/২)।
ফল : রয়্যালস ২১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : আন্দ্রে রাসেল ২৭* (১৬) ও ২/৩২ (রাজশাহী রয়্যালস)।
টুর্নামেন্টসেরা : আন্দ্রে রাসেল ২২৫ রান ও ১৪ উইকেট (রাজশাহী রয়্যালস)।
২০২২
উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দিয়েছিল বিপিএলের অষ্টম আসরের ফাইনাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ১৫১ রানের জবাবে ফরচুন বরিশাল হেরে যায় ১ রানে। ক্যারিবিয়ান স্পিন অলরাউন্ডার নারাইনের ২৩ বলে ঝড়ো ৫৭ রানের পর বাকি টপ অর্ডার ধুঁকেছে। পরে মঈন আলির ৩৮ রানে দেড়শ ছাড়াতে পারে কুমিল্লা।
লো স্কোরিং ফাইনালে রঙ চড়িয়ে দেন তানভীর ও নারাইন। বরিশালের হয়ে তিনে নামা সৈকত ৩৪ বলে আনেন ৫৮ রান। বাকি মিডল ও টপ ধুঁকতে থাকে। শেষ পর্যন্ত শান্তর ব্যাটে আশা দেখলেও ব্যর্থ হন তিনি। তৌহিদ ও মুজিবুর শেষ বলে দুই রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। উল্টো কাটা পড়েন রান আউটে। ১ রানে জিতে উল্লাসে মাতে কুমিল্লা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৫১/৯ (নারাইন ৫৭, মঈন আলি ৩৮, মুজিব উর রহমান ২৭/২, শফিকুল ইসলাম ৩১/২)।
ফরচুন বরিশাল : ১৫০/৮ (সৈকত ৫৮, গেইল ৩৩, শান্ত ১২, নারাইন ১৫/২, তানভীর ২৫/২)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : সুনীল নারাইন ৫৭ (২৩) ও ১৫/২ (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।
টুর্নামেন্টসেরা : সাকিব আল হাসান ২৮৪ ও ১৬ উইকেট (ফরচুন বরিশাল)।