প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৪৫ এএম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:০৭ এএম
পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের এ শঙ্কাই বুঝি করছিলেন। ঘরের মাঠে বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—বায়ার্ন মিউনিখের কাছে সব বিভাগে ধুঁকল পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগেও পেল ১-০ গোলের হার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি প্যারিসের ক্লাবটির টানা তৃতীয় হার। বিপরীতে জয়রথে ছুটে চলা বাড়িয়ে নিয়েছে বায়ার্ন।
পার্ক দে প্রিন্সেসে নেইমার, লিওনেল মেসি ও কার্লোস সলেরকে নিয়ে আক্রমণ সাজিয়েছিলেন গালতিয়ের। কিলিয়ান এমবাপেবিহীন সেই আক্রমণের ধার মোটেও ছিল না। উল্টো সফরকারী বায়ার্ন দেখিয়েছে চমক। পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে ফ্রান্স ছাড়ছে এগিয়ে থেকে। মার্চের ৯ তারিখ দ্বিতীয় লেগে নিশ্চিত হবে শেষ আটের স্থান। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা পিএসজির জন্য প্রতিপক্ষের মাঠে সেটি কঠিন বটে!
বুধবার রাতে ৪৬ শতাংশ বল দখলে রাখা পিএসজি পুরো ম্যাচে গোলে শট নিয়েছে মোটে পাঁচবার, অবশ্য চারবার ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ১৪ বারের চেষ্টায় সফল হয়েছে জুলিয়ান নাগেলসামের শিষ্যরা। জয়-পরাজয়ের ব্যবধানও গড়ে দিয়েছে সেই একটি মাত্র গোল।
জার্মান জায়ান্টদের হয়ে এদিন জয়সূচক গোলটি আনেন কিংসলে কোম্যান। প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড। ৫৩ মিনিটে রক্ষণের তারকা ডেভিসের ক্রস দারুণভাবে জালে পাঠায় কোম্যান। পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুমাকে পরাস্ত করে যদিও উদযাপনে মাতেনি কোম্যান। তবে পিএসজিকে হারিয়ে মুলার-মুসিয়ালারা ঠিকই চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
স্পার্সদের হারিয়ে মিলানের ইতিহাস
রাতের আরেক খেলায় ঘরের মাঠে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামকে হারিয়ে দিয়েছে এসি মিলান। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে স্পার্সদের বিপক্ষে এটিই প্রথম জয়। পিএসজি-বায়ার্নের মতো এ ম্যাচও সমতা হয়েছে ১-০ গোলে।
ঘরের মাঠ সান সিরোয় একমাত্র গোলটি করেছেন ব্রাহিম দিয়াস। খেলার সাত মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়া দলটি স্কোরলাইন অক্ষত রাখে শেষ পর্যন্ত। ৮ মার্চ টটেনহ্যামের আতিথ্য নেবে মিলান।