প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৪০ এএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪১ পিএম
‘ক্রিকেট খেলা, ক্রিকেট খেলা! বলা যায় না কী হয়ে যায়...’- কথাগুলো ফরচুন বরিশালের উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের। ৩১ বলে যখন ঢাকা ডমিনেটর্সের প্রয়োজন ৩৪ রান, তখন স্টাম্পের পেছন থেকে সতীর্থদের উদ্দেশে বলছিলেন কথাগুলো। তার দল অবশ্য কথাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। হেরেছে ৫ উইকেটে। তাতে শেষ চারের অপেক্ষাটা বেড়ে যায় সাকিব আল হাসানের দলের। কিন্তু সেই রাতেই খুলনাকে হারিয়ে কুমিল্লা কোয়ালিফায়ারে ওঠে এলো। এই ম্যাচের হিসেব বদলে দিল বরিশালের ভাগ্য। তারাও উঠে এলো শেষ চারে।
আগের রাতে এবারের বিপিএলের প্রথম দল হিসেবে সিলেট স্ট্রাইকার্স শেষ চার নিশ্চিত করেছে। টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে এখন বরিশাল। আর পয়েন্টে বরিশালের সমান হলেও কুমিল্লা রানরেটের হিসেবে এখন তৃতীয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুপুরে টসে জিতে আগে ব্যাট করে বরিশাল নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলতে পারে ১৫৬ রান।
শুরুটা ভালোই করেছিল সাকিবের দল। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান জমা করে। তবে পাওয়ার প্লে শেষেই দুর্ভোগের শুরু। ওপেনার সাইফ হাসান ফেরেন ১৯ বলে ১৫ রান করে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ইব্রাহিম জাদরান, ইফতিখার আহমেদদের কেউই এদিন পারেননি থিতু হতে, ফিরেছেন তার আগেই।
৯২ রান তুলতে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে বরিশাল। সেখান থেকে বরিশালের সংগ্রহটা ভদ্রস্থ হয়েছে লোয়ার মিডল অর্ডারের কল্যাণে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিপর্যয় সামাল দেন। শেষদিকে করিম জানাতের ৫ বলে ১৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩৯ রান।
মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচটা জিততে হলে সাকিব আল হাসানের দলকে শুরুতেই ধাক্কা দিতে হতো ঢাকা ডমিনেটর্সকে। তবে সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ মিঠুন তা হতে দেননি। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ৫৫ রান এনে দেয় ঢাকাকে। দলীয় ৭৪ রানে যখন সৌম্য ফিরে যাচ্ছেন, তখনই ঢাকা চলে এসেছিল চালকের আসনে।
এরপর অবশ্য ঢাকা উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১০২ রানে মিঠুন ফেরেন ৩৬ বলে ৫৪ রান করে। এরপর আবদুল্লাহ আল মামুনের ২৬, অধিনায়ক নাসির হোসেনের ২০ ও অ্যালেক্স ব্লেকের ১৫ রানের ছোট ছোট অথচ কার্যকরী ইনিংসে ভর করে ঢাকা পেয়ে যায় ৫ উইকেটের জয়।
ঢাকার এই জয়ের ফলে তাদের শেষ চারের আশার প্রদীপটা জ্বলে রইল, অন্তত কাগজে কলমে। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট এখন ৬, নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। তবে রংপুর রাইডার্স তাদের বাকি চার ম্যাচের একটিতে জিতলেই চতুর্থ দল হিসেবে নাম লেখাবে শেষ চারে। তখন তাদের পয়েন্ট হবে ১২। ঢাকা, খুলনা এবং চট্টগ্রাম যদি তাদের বাকি সব ম্যাচও জিতে তবু তাদের কারোরই পয়েন্ট ১০ এর বেশি হবে না। হিসেব পরিস্কার?
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ১৫৬/৮, ২০ ওভার (এনামুল হক ৪২, মাহমুদউল্লাহ ৩৯, হামজা ২/২২)। ঢাকা ডমিনেটর্স : ১৫৭/৫, ১৮.৫ ওভার (সৌম্য ৩৭, মিঠুন ৫৪, সাকিব ২/১৮, সানজামুল ২/৩৫)। ফল : ঢাকা ডমিনেটর্স ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : মোহাম্মদ মিঠুন।