প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৫ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১১ পিএম
আগের রাতে এবারের বিপিএলের প্রথম দল হিসেবে সিলেট স্ট্রাইকার্স শেষ চার নিশ্চিত করেছে। টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থাকা বরিশালের সামনে সুযোগ ছিল প্লে অফের কাছাকাছি চলে যাওয়ার। তবে সাকিব আল হাসানের দল তা পারল না। ঢাকা ডমিনেটর্সের কাছে হেরেছে ৬ উইকেটে। বলা ভালো, বরিশাল হেরেছে সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ মিঠুনের কাছেই। মাঝারি লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়ে দুজনের গড়া ভিতই যে ঢাকাকে বসিয়ে দিয়েছিল চালকের আসনে!
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ দুপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ১৫৬ রান জমা করে বরিশাল।
শুরুটা ভালোই করেছিল সাকিবের দল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান জমা করে বিপিএল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকা দলটি। তবে পাওয়ার প্লে শেষেই শুরু দলটির দুর্ভোগের। ওপেনার সাইফ হাসান ফেরেন ১৯ বলে ১৫ রান করে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ইবরাহিম জাদরান, ইফতিখার আহমেদদের কেউই এদিন পারেননি থিতু হতে, ফিরেছেন তার আগেই।
বরিশালের পরিস্থিতিটা আরও কঠিন হয়ে যায় এক পাশ আগলে রাখা ওপেনার এনামুল ফিরে গেলে। ৯২ রান তুলতে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে বরিশাল। সেখান থেকে বরিশালের সংগ্রহটা ভদ্রস্থ হয়েছে লোয়ার মিডল অর্ডারের কল্যাণে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিপর্যয় সামাল দেন। শেষ দিকে করিম জানাতের ৫ বলে ১৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩৯ রান।
মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচটা জিততে হলে সাকিব আল হাসানের দলকে শুরুতেই ধাক্কা দিতে হতো ঢাকা ডমিনেটর্সকে। তবে সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ মিঠুন তা হতে দেননি। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ৫৫ রান এনে দেয় ঢাকাকে। দলীয় ৭৪ রানে যখন সৌম্য ফিরে যাচ্ছেন, তখনই ঢাকা চলে এসেছিল চালকের আসনে।
এরপর অবশ্য ঢাকা উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। ১০২ রানে মিঠুন ফেরেন ৩৬ বলে ৫৪ রান করে। এরপর আবদুল্লাহ আল মামুনের ২৬, অধিনায়ক নাসির হোসেনের ২০ ও অ্যালেক্স ব্লেকের ১৫ রানের ছোট ছোট অথচ কার্যকর ইনিংসে ভর করে ঢাকা পেয়ে যায় ৫ উইকেটের জয়। বরিশালের হয়ে সাকিব আল হাসান ও সানজামুল ইসলাম পান ২টি করে উইকেট।