পার্থ প্রতীম রায়
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৮ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচ পরিচালনা করবেন নারী ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এই টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য তালিকায় থাকা ম্যাচ অফিসিয়ালদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশি নন। কেন নেই? এমন প্রশ্ন ছিল নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির কাছে। বাংলাদেশের মেয়েরা মাত্রই আম্পায়ারিং শুরু করায় সুযোগ পাননি। এবার না পারলেও পরের আসরে পাবেন বলে আশা তার।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারী আম্পায়ারদের যাত্রা শুরু হওয়ায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হতে যাওয়া নারী বিশ্বকাপে থাকছেন না। পরের আসরগুলোতে বাংলাদেশিদের দেখা যাবে জানিয়ে জেসি বলেন, ‘আমরা মাত্র প্রফেশনালি আম্পায়ারিং শুরু করেছি। আমার কাছে মনে হয় সময় লাগবে। আমরা যেহেতু আম্পায়ারিংয়ের ওই লেভেলে পৌঁছায়নি তাই বাংলাদেশ থেকে কারও নাম নেই। আশা করছি পরের ইভেন্টগুলোতে সুযোগ থাকবে।’ আইসিসি ও এসিসি নারী আম্পায়ারদের প্রতি নজর আছে। ‘আইসিসি বলেন, এসিসি বলেন সবাই নারী আম্পায়াদের প্রতি একটু বেশি ঝোঁক দিচ্ছে।’Ñ যোগ করেন জেসি।
আইসিসি কিংবা এসিসির অধীনে কাজ করতে হলে নারী আম্পায়ারদের ভিত্তি গড়তে হবে দেশেই। সেখানে কী রকম চ্যালেঞ্জের দেশের নারী আম্পায়ারদের? জেসি বলেন, ‘আম্পায়ারিং অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। ক্রিকেট খেলায় নারীরা নারীদের সঙ্গে খেলছে। আম্পায়ারিং যখন করছি, সেটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। ছেলেদের সেকেন্ড, থার্ড, ফার্স্ট ডিভিশনের ওরা ম্যাচিউরড থাকে, অনেক দিন ধরে খেলছে। সহজভাবে নেবে, ব্যাপারটা কঠিন। একবার মানিয়ে নিলে তারপর ব্যাপারটা সহজ হয়।’ চ্যালেঞ্জ হলেও সুযোগ পেলেই সদ্ব্যবহার করতে চান জেসি। ‘আম্পায়ারিং অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। ভালো আম্পায়ারিং করতে হবে, যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। বাইরের মানুষ যেন না বলে, ‘ও ভালো আম্পায়ারিং করে না। এর জন্য মনে হয় আমাদের ভালো কাজ করতে হবে।’
বাংলাদেশে নারী আম্পায়াররা নিয়মিত ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাওয়ায় অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছে জানিয়ে জেসি বলেন, ‘আমাদের দেখাদেখি গত কয়েক মাসে ৮-১০ জন আম্পায়ারিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। অপেক্ষায় আছে আম্পায়ারিংয়ের জন্য। সামনে মেয়েদের কোয়ালিফাইং আছে, ওখানে নতুনরা সুযোগ পাবে আশা করি।’ তাদের দেখাদেখি যারা আম্পায়ারিংয়ে আসছে তাদের আর্থিক নিরাপত্তাও ভালো জানিয়ে জেসির ভাষ্য, ‘আমার কাছে মনে হয় গুড অপশন। প্রফেশন হিসেবে কেউ নিতে চাইলে ভালো হবে। ভালো করতে পারলে অনেক ভালো সুবিধা আছে। আমরা যে ধরনের টাকা পাচ্ছি, ১০টা ম্যাচ করে যে টাকা পাচ্ছি, একবার ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ করলে তার চেয়ে বেশি টাকা পাব।’