প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:১৮ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৪ পিএম
কার্ড দেখতে বিশ্বের কোনো খেলোয়াড়ই হয়তো পছন্দ করবেন না। এমনিতে লাল ও হলুদ কার্ডের হ্যাপায় তটস্থ থাকেন ফুটবলাররা, সেখানে নতুন আরেকটি কার্ড আনা হয়েছে। তবে হোয়াইট কার্ড বা সাদা কার্ড নিয়ে খেলোয়াড়দের চিন্তার কারণ নেই, কারণ হলুদ বা লাল কার্ডের মতো এই কার্ড কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। এটি স্টপেজ টাইম বা খেলা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে রেফারি ব্যবহার করতে পারবেন। বিষয়টিকে স্পোর্টসম্যানশিপ হিসেবেও দেখানো হয়েছে।
১৯৭০ বিশ্বকাপের পর দুটি কার্ডের ক্ষমতা রেফারিকে দেয় ফিফা। শুধু আপত্তিকর খেলোয়াড়দের দেখানো হতো কার্ডদুটি। নতুন আসা সাদা কার্ডটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার হয়েছে একটি নারীদের ম্যাচে। টাচা দে পর্তুগাল আসরের সেমিফাইনালে গত শনিবার পেশাদার ফুটবলে কার্ডটি দেখান রেফারি।
বেনফিকা ও স্পোর্টিং লিসবনের ম্যাচে স্কোরলাইন যখন ৩-০, তখন অসুস্থ হয়ে যাওয়া এক খেলোয়াড়কে শুশ্রুষা দিতে মাঠে আসেন মেডিকেল টিম। ক্রীড়ার নৈতিক মান উন্নত করার জন্য কার্ডটি তখন দেখানো হয়। স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা প্রথমে রেফারির হাতে সাদা রঙের কার্ড দেখে অবাকই হয়েছিলেন। কিন্তু ধাতস্ত হতেই এস্তাদিও দা লুজের দর্শকদের উল্লাস ও হাততালিতে ইতিহাস হয়ে যায় হোয়াইট কার্ড।
ম্যাচের মধ্যবিরতির আগমুহূর্তে ডাগআউটে থাকা কেউ একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুই দলের মেডিকেল স্টাফরাই সেই ব্যক্তিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান। ঠিক তখনই রেফারি তাদের সাদা কার্ড দেখান। মূলত মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বৈরিতা ভুলে ফুটবলের নৈতিকতাকে সবার ওপরে রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দুই দলের মেডিকেল স্টাফদের সাদা কার্ড দেখানো হয়।
কার্ডে ইতিহাস গড়া ম্যাচে ৫-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেনফিকা। স্টেডিয়ামে ১৫ হাজার ৩২ জন ম্যাচটি উপভোগ করে, যা পর্তুগালের কোনো নারী ফুটবল ম্যাচে সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির নতুন রেকর্ডও। একদিনে দুই বড় রেকর্ডের সাক্ষী হলো এস্তাদিও দা লুজে স্টেডিয়াম।