প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০১:৩৬ এএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০১:৪৭ এএম
একেই বুঝি বলে পয়সা উসুলের ম্যাচ! আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ, গোলে শট থেকে গতি হয়ে বল দখলের লড়াই—কি ছিল না! নয় গোলের ম্যাচটিতে পিএসজিকে যদিও হারাতে পারেনি অল স্টার রিয়াদ, তবুও জমিয়ে তুলেছিল খেলা। ফুটবল বিশ্বও দেখে নিল বহুল আকাঙ্ক্ষিত লিওনেল মেসি—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আরেকটি দ্বৈরথ।
লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে রিয়াদের সেরা একাদশের প্রীতি ম্যাচটি শেষ হয়েছে ৫-৪ গোলে। রিয়াদের কিং ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জোড়া গোল এনে নতুন দেশে দারুণ শুরু করেছেন সিআর সেভেন। দুর্দান্ত ফুটবলে দর্শকদের মাতিয়ে দিয়েছেন মেসি-এমবাপে-নেইমাররা। পিএসজির হয়ে গোল পেয়েছেন মেসি-এমবাপে দুজনেই, পেনাল্টি মিস না করলে স্কোরলাইনে নেইমারের নামও থাকত।
বল দখলের লড়াইয়ে শুক্রবার রাতে দুদল সমতায় থাকলেও লিগ ওয়ানের দলটির বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন রিয়াদ একাদশের গোলরক্ষক আল-ওয়াসিস। পিএসজির ১৩টি শটের দশটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে রোনালদোরাও কম যাননি। গোলমুখে ২৩বার শট নিয়ে সফরকারী গোলরক্ষক নাভাসের ভুগিয়েছেন ১১বার।
মেসি নাকি রোনালদো—কে সেরা বিতর্ক তর্কসাপেক্ষে শেষ হলেও রেশটা এখনও কাটেনি। স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা দুজন এদিনও ছিল ফুরফুরে। বল দখলের লড়াইয়ে শুরুতেই রোনালদোর কাছে বল হারান মেসি। তবে জবাবটা জাল খুঁজে নিয়ে দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন। তিন মিনিটের গোলে এগিয়ে যাবার পর ২৫ মিনিটে এমবাপেকেও জালের খোঁজ দেন মেসি। অফসাইডের গেঁরোতে আটকে যায় ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকারের গোল৷ পরে যদিও কাতার বিশ্বকাপের টপ স্কোরার গোল এনেছিলেন।
২০২০ সালে জুভেন্টাস-বার্সেলোনার ম্যাচে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিলেন রোনালদো-মেসি। এরপর দুজনের ক্যারিয়ারে বাঁকবদল এসেছে। সব চুকিয়ে মেসি এখন ফ্রান্সে খেলেন, রোনালদোর যাত্রা শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। নতুন দেশে শুরুটা পেনাল্টি গোল থেকে আনেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। কেইলর নাভাসের ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াদ। নিজের আদায় করা পেনাল্টিতে খেলার ৩৪ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে সমতা ফেরান ‘সিআর সেভেন’। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরেকবার জাল খুঁজে নেন রোনালদো। এর আগে, ৪৩ মিনিটে এমবাপের ক্রস ধরে পিএসজিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মার্কুইনহোস।
বিরতির পর ৬১ মিনিটে রোনালদোকে বদলি করা হয়। এক মিনিট পর মাঠ ছাড়েন পিএসজির দুই সুপার স্টার মেসি ও নেইমার৷ ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর এমবাপেকেও বসিয়ে দেন ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। তারকাদের ম্যাচে চার তারকা উঠে গেলেও লড়াই তখনও তুঙ্গে। একবার পিএসজি এগিয়ে গেলে পরক্ষণেই সমতায় ফেরায় রিয়াদ একাদশ।
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথের ম্যাচে দুই মহাতারকা ছাড়াও পিএসজির হয়ে ৪৩ মিনিটে গোল করেছেন মার্কুইনহোস৷ দশ মিনিট পর জালের দেখা পেয়েছেন স্প্যানিশ রক্ষণের তারকা সার্জিও রামোস। ৬০ মিনিটে এমবাপের সফল স্পট কিকের পর ৭৮ মিনিটে স্কোরলাইনে পাঁচ নম্বর গোল এনে দেন হুগো একিটিক। রোনালদো পর ৫৬ মিনিটে গোল করেছেন জোয়াং হুয়াং-সু এবং যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমিয়েছেন অ্যান্ডারসন টেলিস্কা।