ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে বাফুফের নানা আয়োজন

আগামী ১০ জুন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচ ঘিরে সাধারণ দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। প্রায় ৬ বছর পর জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা ফেরা, হামজা চৌধুরীর ঘরের মাঠে ডেব্যু, আছে ফাহামিদুল ইসলামের দলে ঢোকার বিষয়টিও; সব মিলিয়ে ফুটবলপ্রেমিদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু সিঙ্গাপুর ম্যাচ। খেলাটি বৃহৎ পরিসরে পদর্শনের জন্য নানামুখী চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।

ম্যাচ হবে জাতীয় স্টেডিয়ামে:
• স্টেডিয়ামে মোট আসন ২২ হাজার
• সাধারণ দর্শকের জন্য বরাদ্দ ১৮ হাজার ৩০০
• বাফুফে টিকিট ছাড়বে অনলাইনে
• স্টেডিয়াম এলাকায় থাকবে ফ্যান জোন
• ম্যাচের ৪৮ ঘন্টা আগ থেকে স্টেডিয়াম এলাকায় বন্ধ থাকবে দোকানপাট 
• স্টেডিয়ামে ফ্ল্যাডলাইট বসেছে নতুন এলইডি বাল্ব

জাতীয় স্টেডিয়ামটি ক্রীড়া পরিষদের। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই চলছে সংস্কার কাজ। তবে সবকিছু শেষের দিকে। আজ বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটে বসেছে নতুন এলইডি বাল্ব। মাঠের কাজও এগোচ্ছে দারুণভাবে। ঘাস পরিচর্যাসহ মাঠ প্লেইন রাখতে কয়েকধাপে করা হচ্ছে রোলার কাজ। বাফুফের কাছে মাঠটি আগামী ২২ মে হস্তান্তর করার কথা এনএসসির। বাফুফে ভবনের সামনে কথা হয় কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউসের সঙ্গে। সাবেক এই ফুটবলার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এনএসসি আমাদের আস্বস্ত করেছে আগামী ২২ মে স্টেডিয়াম বুঝে পাবো। আমরাও আশাবাদী। স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ তো প্রায় শেষ। ৩১ মে জাতীয় দলের ক্যাম্প এখানেই করার কথা ভাবছে বাফুফে।’

এর আগে দুপুরে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন উপলক্ষে আজ কম্পিটিশন কমিটির এক সভা করেছে ফুটবল ফেডারেশন। সেই সভায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারাও ছিলেন। তবে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির সদস্য ও আরামবাগ ক্রীড়া চক্র ক্লাবের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল, ‘আমরা সমর্থকদের মাঠে ফেরাতে চাই। সমর্থকরা যেন মাঠে এসে খেলা দেখতে পারেন এজন্য আজ (গতকাল) স্টেডিয়ামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও আমাদের সহায়তা করছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মতো বাফুফেও হাটছে নতুন পথে। প্রথমবারের মতো ম্যাচের টিকিট ছাড়বে অনলাইনে। বলেছেন তাজওয়ার আউয়ার ‘আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রি করব। টিকিটের দাম কত হবে সেটা মার্কেটিং কমিটি ও ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত হবে পরবর্তীতে ফেডারেশনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে।’ তবে টিকিটের দাম এখন নির্ধারণ না হলেও আসন বিন্যাস ও দাম নিয়ে বলেন, ‘গ্যালারির (সাধারণ) জন্য আমরা ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করব। এছাড়া অন্য ক্যাটাগরি থাকবে। কোন ক্যাটাগরির টিকিট কত সেটা সব বিবেচনা করেই করা হবে। সমর্থকরা যেন খেলতে দেখতে আসতে পারেন এবং টিকিটের মাধ্যমে বাফুফের আয়ও হয়, দুই দিকই বিবেচনা করা হবে।'

স্টেডিয়ামে বসে যারা খেলা দেখতে পারবেন না তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখবে বাফুফে। জানা গেছে, স্টেডিয়াম এলাকায় ফ্যানজোন বসাবে ফেডারেশন। সেখানে বড় পর্দায় খেলা দেখতে পারবেন ফুটবলপ্রেমিরা। গণমাধ্যমে ব্রিফ করার পর এদিন বাফুফে ও এনএসসি কর্মকর্তারা গ্যালারি ও মাঠ পরিদর্শন করেন। সমর্থকদের জন্য ফুড জোন, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে। বিগত সময়ে ফুটবল দর্শকরা এসব থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটে বসেছে নতুন এলইডি বাল্ব। 

এদিকে, এএফসি নিয়ম অনুযায়ী এক মাস আগেই ভেন্যুর নাম জানাতে হয়। বাফুফে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম এএফসিতে পাঠিয়েছে। স্টেডিয়াম সংস্কারের পর এএফসির পুনরায় অনুমোদন প্রয়োজন। সম্প্রতি এএফসি ম্যাচ কমিশনার এসেছিলেন। ২২ মে’র মধ্যে পরিপূর্ণ করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বাফুফে আশাবাদী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকল কিছু সম্পন্ন হবে।