প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৪ পিএম
দীর্ঘ ১২৮ বছর পর আরও একবার অলিম্পিক গেমসে ফিরছে ক্রিকেট
দীর্ঘ ১২৮ বছর পর আরও একবার অলিম্পিক গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পোমোনাতে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসের ক্রিকেট ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। গেমসের ভেন্যু সম্পর্কে ঘোষণা দিতে গিয়ে এলএ২৮ আয়োজক কমিটি জানিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময় পর অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটকে স্বাগত জানাবে ওয়েস্ট কোস্ট।
গেমস আয়োজক কমিটি ঘোষণায় বলেছে,
‘ক্রিকেট (টি২০) বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় ইভেন্ট, যা ২০২৮ অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ক্রিকেট আয়োজনের জন্য পোমোনার ফেয়ারগ্রাউন্ডে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি ভেন্যু নির্মাণ
করা হবে।’
লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ক্রিকেটে
পুরুষ ও নারী বিভাগে ছয়টি দল অংশ নেবে। প্রায় ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে আবারও ফিরেছে বিশ্বজুড়ে
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ক্রিকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
(আইসিসি) এলএ২৮’র এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেছেন, ‘যদিও ক্রিকেট
বিশ্বজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় একটি খেলা, সে কারণে অলিম্পিকে আবারও এটা ফিরে আসাটাই স্বস্তির
বিষয়। আকর্ষণীয় টি২০ ম্যাচের মাধ্যমে অবশ্যই নতুন নতুন দর্শক ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী
হবে। আইসিসির পক্ষ থেকে আমি এলএ২৮’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক
অলিম্পিক কমিটিকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এলএ২৮’এ ক্রিকেটের সফলতার
জন্য আইওসির সঙ্গে আইসিসি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
এর আগে প্রাথমিক পরিকল্পনা
ছিল নিউইয়র্কে ক্রিকেট ম্যাচগুলো আয়োজনের। এই শহরেই গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ
অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে এলএ২৮ ক্যালিফোর্নিয়ায় এই ইভেন্ট
আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
অলিম্পিকে ক্রিকেট শেষবার
দেখা গিয়েছিল ১৯০০ সালে। সেবার গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণ ও ফ্রেঞ্চ অ্যাথলেটিক ক্লাব ইউনিয়ন
রৌপ্য জয় করে। এরপর থেকে আর ক্রিকেট খেলা হয়নি বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায়। ১৯৮৬ সালে
এথেন্স অলিম্পিকে ক্রিকেট রাখা হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক দল অংশ না নেওয়ায় শেষপর্যন্ত মাঠে
গড়ায়নি কোনো বল।
এরপর থেকে নিয়মিত চেষ্টা করা
হয়েছে ক্রিকেটকে অলিম্পিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। ২০২৪ অলিম্পিক আসরে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির
জন্য আইসিসি চেষ্টা করলেও তা আর হয়নি। এবার তা আলোর মুখ দেখেছে। ২০২৮ অলিম্পিকে ছটি
দল খেলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ এবং নারী, দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই সংখ্যাটি একই
থাকছে। প্রতিটি দলে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য।