ফেড কাপ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৯ পিএম
চৈত্রের প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেও কিছু দর্শক হাজির কুমিল্লার ভাষাশহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলের বড় দুই দলের লড়াইটা সেভাবে জমে উঠছিল না। প্রথমার্ধের গোলশূন্য ও ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের দৃশ্যপট দ্বিতীয়ার্ধেই যায় বদলে। আবাহনী লিমিটেডের ভুলে গোল পেয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। ততক্ষণে লাল কার্ড দেখে ১০ জনের দলে পরিণত মারুফুল হকের দল। সেই দলটিই ফেরে ম্যাচে। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও খেলা ছিল ১-১ ব্যবধানে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে কিংসকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল ধানমন্ডির ক্লাবটি।
মঙ্গলবার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে প্রথম কোয়ালিফায়ার্সের ম্যাচে আবাহনী সমতায় ফেরে ১-১ গোলে। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে উঠে যায় ফেডারেশন কাপের ফাইনালে। আগামী ২২ এপ্রিলের ফাইনালে আবাহনীর প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই ম্যাচে হেরেও বসুন্ধরা কিংস একেবারে বিদায় নিচ্ছে না। একই দিনে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। ১৫ এপ্রিল আবারও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রহমতগঞ্জ মোকাবিলা করবে কিংসের।
আবাহনীর কাছে এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচেও হেরেছে কিংস। সেই ম্যাচে ১-০ গোলে কুমিল্লার এই মাঠেই জিতেছিল মারুফুলের দল। মঙ্গলবার অন্তত জয় নিয়ে ফেরার স্বপ্ন দেখছিল কিংস। তবে সেটা হয়নি। টাইব্রেকারে তাদের হারিয়ে জয়ের নায়ক আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা। টাইব্রেকারে আবাহনীর জাফর ইকবালের শট আটকান বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামা আনিসুর রহমান জিকো, কিন্তু তিনি পরে পরাস্ত হন রাফায়েল আগুস্তো, এমেকা, সবুজ, মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাছে।
টাইব্রেকারে জালের দেখা পান কিংসের জোনাথন ফের্নান্দেস, শেখ মোরসালিন। রাব্বি হোসেন রাহুলের তৃতীয় শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকান আবাহনীর মিতুল। এরপর দেসিয়েলের শট উড়ে যায় পোস্টের উপর দিয়ে; কিংসের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তিক্তই হলো এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের জন্য। এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১০ জনের আবাহনীর কাছে হেরে মাঠ ছেড়েছে কিংস।
ব্রাদার্সকে বিদায় করে ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে রহমতগঞ্জ
ময়মনসিংহে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জিতেছে রহমতগঞ্জ। আশা অবশ্য জাগিয়েছিল ব্রাদার্সই। ৩৫ মিনিটে ছোট কর্নার সতীর্থ থামিয়ে দেওয়ার পর এমফন সানডেই ছুটে এসে শট নেন। বল বাঁক খেয়ে লাফিয়ে ওঠা হাবিবের গ্লাভসকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়। এগিয়ে যায় গোপীবাগের দলটি। ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে স্যামুয়েল বোয়াটেং হেডে সমতায় ফেরান রহমতগঞ্জকে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম অর্ধে এগিয়ে যায় পুরান ঢাকার দলটি। ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে বল বুক দিয়ে রিসিভ করতে গিয়েছিলেন রহমত মিয়া, কিন্তু তার বুকে লেগে চলে যায় সলোমনের পায়ে। হঠাৎ পাওয়া সুযোগ দারুণ টোকায় কাজে লাগান তিনি। বাকিটা সময় ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রহমতগঞ্জ।