প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ২০:২১ পিএম
খালেদ মাহমুদ সুজন ভরসা রাখছেন তাসকিনের সম্ভাবনায়
গত বছরের শেষদিকে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিরায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপরই আলোচনায় কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। যাদের অন্যতম তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা না হলেও এ তিন সিনিয়রকে নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে।
কুড়ি কুড়ি ক্রিকেটে নেতৃত্ব
পাওয়ার সম্ভাব্য তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম তাসকিন। অভিজ্ঞ এই পেসারের
নেতৃত্বের খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। তবে খালেদ মাহমুদ সুজন ভরসা রাখছেন তাসকিনের সম্ভাবনায়। শনিবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টাইগার দলের ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুতে কথা
বলেন তিনি।
পেসাররা প্রায়ই ইনুজরিতে পড়েন।
ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করেই তাদের খেলা চালিয়ে যেতে হয়। তাসকিন নিজেও একাধিকবার ইনজুরিতে
পড়েছেন। পেসারদের ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুতে কথা হলেই ইনজুরি বিষয়টি সামনে দাঁড় করানো হয়।
এ নিয়ে সুজন অবশ্য বলেছেন, ‘ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইমরান খান
দিয়েছেন, ইয়ান বোথাম দিয়েছেন। তারা অলরাউন্ডার ছিলেনÑ যদিও এটা বলতেই পারেন। পেস
বোলাররা অধিনায়কত্ব করতে পারবেন নাÑ এই কথাটা একদম ঠিক না।’
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক
বলেছেন, ‘যদি তাসকিনের ইনজুরি হয়, অধিনায়কত্ব করতে না পারে, তো দলে একজন ভাইস ক্যাপ্টেন
থাকবেন সে চালিয়ে নিবে। এটা তো আসলে বোর্ডের ব্যাপার। পেসাররা অধিনায়কত্ব করতে পারবে
না, এটা ভুল কথা। নলেজ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ, তাসকিনের মধ্যে অধিনায়কত্ব ম্যাটেরিয়ালন্স
আছে কি না এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে
শান্ত অধিনায়কত্ব করলেও চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিলেন না তিনি। ফলে ক্যারিবীয়
দ্বীপপুঞ্জে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ ও টি টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব
দিয়েছিলেন লিটন। ডানহাতি ব্যাটারের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশকে সিরিজ জেতে
বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার পর লিটনের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন কোচ থেকে
ক্রিকেটাররা। সুজন মনে করেন, লিটন অধিনায়ক হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান
কোচ বলেন, ‘আসলে এরা সবাই প্রস্তুত আছে, এমন না যে কেউ প্রস্তুত না। এত বছর ধরে ক্রিকেট
খেলছে, লিটন বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেও। সুতরাং ওর মধ্যে যে সামর্থ্য আছে ওইটা
তো আমরা জানি। এটা তো বোর্ড এবং নির্বাচক প্যানেলের... বোর্ডই চিন্তা করবে কাকে টি
টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব দেওয়া যাবে। এখন অনেকেই প্রস্তুত আছে। আমি যদি বলি তাসকিন, মিরাজ,
শান্ত, লিটন। এই ব্যাচের অনেক ছেলে আছে...। যে কেউ অধিনায়ক হতে পারে। তবে আমি মনে করি
লিটন বাজে চয়েজ হবে না।’
লিটনকে সবচেয়ে বড় ভয় অফ ফর্ম।
ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের স্কোয়াডে সুযোগ মেলেনি
তার। ওয়ানডের মতো টি টোয়েন্টিতেও সেরা ছন্দে নেই তিনি। গত বছরের শেষের দিকে হওয়া ওয়েস্ট
ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচে মাত্র ১৭ রান করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০২৩ সালের এপ্রিলের
পর থেকে ২৪ ম্যাচে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। যেখানে ত্রিশোর্ধ্ব রানের
ইনিংস খেলেছেন পাঁচটি।
এমন অবস্থায় লিটনের ফর্মে
ফেরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সুজন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলিনি ওকে (লিটন)
অধিনায়কত্ব দিতে হবে, আমি বলেছি এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কাকে দলে নেবে কি নেবে না এটা
তো আগে চিন্তা করতে হবে। সে যদি দলেই না থাকে তাহলে আপনি অধিনায়ক হিসেবে কীভাবে চিন্তা
করবেন। সে ছিল না, আগে সে দলে ফিরুক। আমি এখনও মনে করি লিটন বাংলাদেশের টপ ব্যাটার।’