প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২২ পিএম
খেলা শুরুর প্রথম ১৮ মিনিটের মধ্যে পরিষ্কার তিন গোলের সুযোগ। যার মধ্যে দুটি ছিল অরক্ষিত পোস্ট; তা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত গোলটাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। বলছি এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের কথা। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র মেনে মাঠ ছাড়ে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে তাদের মাটি থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরা জামাল ভূইয়াদের জন্য অবশ্যই স্বস্তির। তবে জেতার অসংখ্য সুযোগ তৈরি করার পর পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পাওয়াটাই এখন পোড়াচ্ছে দেশের ফুটবল সমর্থকদের। বিষয়টি আলাদা করে ভাবাচ্ছে বাফুফেকেও (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশেন)। গোলস্কোরিং সমস্যা সমাধানে এবার প্রবাসী স্ট্রাইকারদের সন্ধান করছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এমনটাই একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ফেডারেশনে নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে খেলা বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরীর। অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন এই মিডফিল্ডার। সুরক্ষিত রেখেছেন বাংলাদেশের রক্ষণ। কিন্তু গোল করার কাজটিতেই কাঁচা রয়ে গেছে লাল-সবুজের দল। জুনের আগে প্রবাসী ফুটবলারদের ট্রায়াল সম্পন্ন করে সেই অভাব পূরণ করা হবে বলে জানান ইকবাল হোসেন। পাশাপাশি ফাহমেদুল ইসলামকেও দলে রাখা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যে সুযোগ এখনও আছে বাংলাদেশের তা কাজে লাগাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলেও জানান ইকবাল।
বাংলাদেশ ফুটবলের তেমন ফিনিশার সংকট অতি পুরোনো। এই জায়গায় ঘাটতি না থাকলে গেল এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে ভারতের জালে একের অধিক গোল দেওয়া সম্ভব ছিল। ঘরোয়া লিগে খেলা ফুটবলার দিয়ে চেষ্টা করেও লম্বা সময়েও পারফেক্ট নাম্বার নাইনের অভাব পূরণ বের করতে পারেনি বাফুফে। তাই বাধ্য হয়ে যাচ্ছে বিকল্প পন্থায়। হামজা আসায় অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন ভাবছে লাল-সবুজ ফুটবল নিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আমেরিকা থেকে অনেকেই আসছেন ট্রায়ালে। এরই মধ্যে গেল সপ্তাহে অন্তত চারজনকে পরখ করেছে বাফুফের টেকনিক্যাল স্টাফ। আরও অন্তত ২০ জন আছে লাইনে। জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাদের মধ্য থেকেই একজন ফরোয়ার্ড বাছাই করতে চায় ফেডারেশন। এ নিয়ে ইকবাল হোসেন বলেন, ‘শেষ ম্যাচে (ভারতের বিপক্ষে) আমরা এতগুলো সুযোগ পেয়েছি… এটা অবশ্য খেলার অংশ। খেলায় মিস হতেই পারে, অসম্ভব কিছু না। তবে ভালো একজন ফিনিশার থাকলে আমরা ওইদিন ২-৩টি গোল দিতে পারতাম। যে মিসগুলো হয়েছে, ওগুলোর ফিনিশিং করতে পারতাম। এ জায়গাটাতে যদি আমাদের ভালো কিছু অন্তর্ভুক্ত হয়, এটা আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া হবে।’
বাংলাদেশ দলের সবশেষ ক্যাম্পে ছিলেন ইতালি প্রবাসী ফাহমেদুল। স্বল্প সময়ে নিজের ফুটবলশৈলী দিয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেও কিছু কারণে তাকে বাইরে রেখেই স্কোয়াড সাজান কাবরেরা। তবে সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে তাকে ফেরাতে পারে বাফুফে।