সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৩ পিএম
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে সাফের বিশেষ সাধারণ সভা ছিল আজ শুক্রবার। সভা ছিল মূলত গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে সাফের নির্বাচনকালীন বয়সসীমা ৭০ বছরের নিচে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বয়সের এই সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান আগেই ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছিল। এদিনকার সভায় সংশোধন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ১৯৫৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন কাজী সালাউদ্দিন। ২০২৬ সালে সাফ নির্বাচনের সময় তার বয়স ৭২ বছর হতো, যে কারণে নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন সাবেক বাফুফে সভাপতি।
শুক্রবারের এই সংশোধনের ফলে সাফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সাফের আগে এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এএফসিতেও বয়সের এই বাধা ওঠানো হয়েছে। ২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। এর পরের বছরই হন সাফের সভাপতি। ২০০৯ থেকে টানা চারবার তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের পদে রয়েছেন।
সাফের গঠনতন্ত্রের ৩১ অনুচ্ছেদের ৪ নম্বর ধারায় রয়েছে, নির্বাহী কমিটির যেকোনো পদ সভাপতিসহ টানা তিনবার বা সব মিলিয়ে তিনবার অথবা ১২ বছরের অধিক সময়কাল অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না। এই সংশোধনী আনা হয় ২০২২ সালের সভায়। ফলে সালাউদ্দিনের ২০১৮-২২ সালের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এই আওতায় পড়েনি। ২০২৬ সালে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হলে এই আইনের আলোকে সেটাই হবে তার শেষ মেয়াদ।
সাফের গঠনতন্ত্র সংশোধনে কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপরও নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর ওপর। কারণ সাফে নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের মনোনয়ন প্রয়োজন। বাফুফের মনোনয়ন না পেলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। আগামী বছর বাফুফে সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। যদিও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সালাউদ্দিনের সখ্য ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেই ধারণা ফুটবলসংশ্লিষ্টদের।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনে আঞ্চলিক সংস্থার ভোট নেই। সেখানে শুধু দেশের ফেডারেশনগুলো ভোট দিতে পারে। ফেডারেশনের পদে নেই এমন কাউকে সাফের শীর্ষ পদে রাখার বিষয়টিও এশিয়ার ফুটবলের প্রভাবশালীরা বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেন।
শুক্রবারের বিশেষ সভায় বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ছিলেন এএফসির সভাপতি শেখ সালমান। তার বক্তব্যে তিনি দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলে স্কুল ফুটবলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সাফ অঞ্চলের বিভিন্ন ফেডারেশনের সভাপতি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে সায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সভায় বাফুফের প্রতিনিধি জাকির হোসেন চৌধুরী।
চলতি বছরের জুনের শেষ সপ্তাহে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টের ভেন্যু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি ফেডারেশন। শ্রীলঙ্কা আগ্রহ প্রকাশ করলেও সাফের মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভ এখনও সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। কলম্বোর ভেন্যু পরিদর্শন করছেন তারা। তাই আজ কংগ্রেসের পর নির্বাহী সভায় সাফের ভেন্যু নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।