প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৪ পিএম
চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা। ছবি : সংগৃহীত
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে যোগ হলো আরও ১২ মিনিট; খেলা চলল ১৪ মিনিটের মতো। জয় উদযাপনের অপেক্ষায় থাকা চেলসির ডাগআউটে ভর করল দুশ্চিন্তা। একের পর এক আক্রমণে তখন ব্লুজদের অনেকটাই কোণঠাসা করে রেখেছিল অতিথি দল টটেনহ্যাম হটস্পার। এরপর শেষ বাঁশি বাজতেই দুহাত মুষ্টিবদ্ধ করে হুঙ্কার ছুড়লেন এনজো মারেস্কা। আলিঙ্গনে জড়ালেন কোচিং স্টাফের অন্যদের। তিন পয়েন্ট পাওয়ার আনন্দের সঙ্গে চেলসি কোচের উদযাপনে মিশে থাকল বড় স্বস্তির ছোঁয়াও। ম্যাচ শেষে তিনি নিজেই বলছেন, ভুল করেও বড় বাঁচা বেঁচে গেছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটিতে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠ স্টাম্পফোর্ড ব্রিজে চেলসি ১-০ গোলে হারায় টটেনহ্যামকে। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে কোল পালমারের ক্রসে কাছ থেকে হেড করে গোল করেন ফাঁকায় থাকা আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেস। এরপর দুই দলই একবার করে বল জালে পাঠায়। কিন্তু ভিএআর পরীক্ষায় বাতিল হয়ে যায় দুটিই।
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর পালমার ও ফার্নান্দেসকে উঠিয়ে দুজন ডিফেন্ডার নামান চেলসি কোচ মারেস্কা। উদ্দেশ্যটা ছিল পরিষ্কার, গোল হজম না করা। কিন্তু যখন তিনি খেয়াল করেন, যোগ করা হয়েছে আরও ১২ মিনিট, তখনই তার মনে শুরু হয় অস্বস্তির ঝড়। উইঙ্গার ও মিডফিল্ডারকে সরিয়ে নেওয়ায় ম্যাচ হয়ে পড়ে অনেকটাই একমুখী। বাকি সময়টায় টটেনহ্যামের একের পর এক আক্রমণ সামলাতে হয় চেলসিকে।
ম্যাচের পর চেলসি কোচ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মেনে নেন নিজের ভুল, ‘প্রথমার্ধে আমরা যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করে কাজে লাগাতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ওই গোলের পর… সত্যি বলতে, ভুলটা আমারই, কারণ অতিরিক্ত সময় দেখার আগেই আমি ওই দুটি বদল করে ফেলি। যখন দেখলাম ১২ মিনিট যোগ করা হয়েছে, আমার মনে হলো, একটু বেশি আগেভাগেই অমন পরিবর্তন করে ফেলেছি। তবে সৌভাগ্যজনকভাবে ম্যাচটি আমরা জিততে পেরেছি এবং এটিই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুবই খুশি।’
শেষ সময়টায় রক্ষণে যে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, সেটিও দলকে আরও পরিণত করবে বলে বিশ্বাস কোচের, ‘দল হিসেবে গড়ে উঠতে হলে এবং বেড়ে উঠতে হলে, শেষ ১০ মিনিটে আমরা যেভাবে খেলেছি, এটা শেখাটা জরুরি…। দৃষ্টিকটু পথে হলেও কীভাবে ম্যাচ জিততে হয়।’ পরের ম্যাচে চেলসির প্রতিপক্ষ ব্রেন্টফোর্ড। প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়ামে গড়াবে দুই দলের ম্যাচটি।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ জিতে ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে চারে উঠে এসেছে চেলসি। ৩০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫২, সিটিজেনদের পয়েন্ট ৫১। ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নটিংহ্যাম ফরেস্ট, ৬১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। প্রায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুলের শিরোপা জয় এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। কেননা সমান ম্যাচ খেলে তালিকার দুইয়ে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে আর্নে স্লটের দল।