রুবেল রেহান, শিলং থেকে
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫ ২১:৩৮ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫ ২১:৫২ পিএম
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে ৭ টায় জওহর লাল নেহেরু স্টেডিয়ামে টার্ফ-২-তে আসে বাংলাদেশ দল।
শিলংয়ে আসার পর থেকে ঝামেলা পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ দলের। যার শুরুটা লাগেজ বিরম্বনা দিয়ে। এরপর অনুশীলন মাঠ নিয়ে চরম অসহযোগিতার শিকার হচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে কোচের আগুনে ভাবমূর্তি। টিম হোটেলে সংবাদ কর্মীদের যাওয়া নিষেধসহ তেরি করেছেন বেশ কিছু অহেতুক বিধি নিয়ম। অনিশ্চয়তার সমস্তা মাত্রা ছাপিয়ে অবশেষে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন করতে পেরেছেন জামাল ভূইয়া, হামজা চৌধুরীরা।
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সাড়ে টায় জওহর লাল নেহেরু স্টেডিয়ামে টার্ফ-২-তে আসে বাংলাদেশ দল। অনুশীলন কাভার করার জন্য এদিন বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ছিল ব্যাপক ভিড়। গাড়ি থেকে একে একে তপু বর্মণ, জামাল, শেখ মোরছালিনরা নামার পর সবশেষে গাড়ি থেকে নামেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তারকা হামজা। অনুশীলন শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
আগত সাংবাদিকদের সামনে প্রথমেই আসেন ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয় অনুশীলন মাঠ নিয়ে বিরম্বনা কতটা উপভোগ করছেন। উপভোগ করছেন শুনে কিছুটা হেসে সাদ উদ্দিনের জবাব, ‘এটা কি উপভোগ করার মতো কিছু বলেন। এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। এর পরপরই বলেন, হ্যা আমরা অনুশীলন মাঠ নিয়ে যে পরিস্থিতির স্বীকার হয়েচি সেটি কাম্য নয়।’
এদিন বাংলাদেশের অনুশীলন করার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে গ্রাউন্ডে গেলেও আসেনি টিম বাস। ৬টার কিছু সময় আগে বাফুফে থেকে জানানো হয় সময় পরিবর্তনের বিষটি। এভাবে বারবার সময় পরিবর্তন হওয়াটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য কতটা হতাশার। এর উত্তরে অবশ্য সাদ বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, আমরা এই পর্যায়ে এসে এসব নিয়ে ভাবি না। বাট টাইমিং একটা ফ্যাক্ট। তবে এসবে মনযোগ এর কোনো ঘাটতি হয় না। যখন মাঠে নামি তখন কেবল অনুশীলন নিয়েই ভাবি, কোচের নির্দেশনা ফলো করি।’
বাংলাদেশ দল যখন অনুশীলন ভেন্যুতে প্রবেশ করে তার প্রায় ৩০ মিনিট আগে প্র্যাকটিশ শেষ করে বেড়িয়ে যায় ভারতীয় দল। যদিও তারা অনুশীলন করেছে যে মাঠে ম্যাচ হবে, সেই মূল ভেন্যুতে। যেটি কিনা ঘাসের মাঠ। কিন্তু ঘাসের মাঠে ম্যাচ হলেও সেখানে অনুশীলন করার অনুমতি মেলেনি বাংলাদেশের। এটি বাংলাদেশের জন্য কেমন হলো সেই উত্তর দিয়েছেন সাদ, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো না। অবশ্যই ঘাসের মাঠে অনুশীলন করলে ভালো হতো। তবে এমনটা আমাদের সঙ্গে হবে সেটি আমরা আগে থেকেই জানতাম। যে কারণে মানষিকভাবে প্রস্তুতিটা ছিল।’
এর আগে ভারতের বিপক্ষে সল্টলেকে গোল করেছিলেন সাদ উদ্দিন। এবারও তিনি দলের সঙ্গে সেই ভারতে। কিন্তু এবার কি আগেরবারের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন? ‘না না আগেরবার যখন ভারতে এসেছিলাম তখন এমনটা হয়নি আমাদের সঙ্গে। আমরা ভালো মাঠে ট্রেইনিং করেছি। কিন্তু এইবার আমরা বাজে পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। তবে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি সবাই।
প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা শিকার করেছেন দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন। সাদের পরে সাংবাদিকদের এসে বলেছেন, এমনটা আমাদের সঙ্গে হবে তা আমরা জানতাম। যে কারণেই এ নিয়ে মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল আগে থেকেই। মানিয়ে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
এদিন অবশ্য দলের অনুশীলন করার কথা ছিল আগের দিনের অনুশীলন ভেন্যুতেই। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিকাল নাগাদ দেওয়া হয় জওহর লাল নেহেরু স্টেডিয়ামে টার্ফ-২ ভেন্যু। এ নিয়ে দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের ভাষ্য, ‘গতকাল (শুক্রবার) যেখানে অনুশীলন করেছি সেটার থেকে এই ভেন্যু ভালো, তবে এখানে কিছু সমস্যা আছে। এই টার্ফে অনুশীলন করলে ফুটবলারদের ইনজুরিতে পরার শঙ্কা রয়েছে।’