বৃষ্টির দিনে পারটেক্সের রুদ্ধশ্বাস জয়

উইকেটের মিছিলে এক প্রান্তে আগলে রেখে দারুণ খেলতে থাকেন মোহাম্মদ রাকিব। অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের কাছে গিয়ে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব হারিয়ে বসে নবম উইকেটও। কিন্তু হাল ছাড়েননি মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নামা রাকিব। শেষ ব্যাটার আব্দুল গাফফার রনিকে নিয়ে ম্যাচের শেষ বলে পারটেক্সকে শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।

শনিবার মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সপ্তম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে পারটেক্সের জয়ের দিনে প্রতিকূল আবহাওয়ায় মাঠেই গড়ায়নি বিকেএসপির দুই ম্যাচ। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব-লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব-ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। এমনকি দুই দলের টস পর্বও হয়নি। ক্রিকেটাররা মাঠে এসে পরবর্তীতে ফিরেছেন না খেলেই।

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অগ্রণী ব্যাংকের দেওয়া ২১৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে একপর্যায়ে সহজ জয়ের পথেই ছিল পারটেক্স। কিন্তু ৫ উইকেটে দুইশ ছাড়ানো আলাউদ্দিন বাবুর দল ২০৯ রান যেতেই হারিয়ে বসেছিল আরও ৪ উইকেট। শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণ মিলিয়ে পারটেক্সের জয়ের নায়ক বনে যান নারায়ণগঞ্জের তরুণ অলরাউন্ডার রাকিব।

পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ম্যাচসেরা রাকিব। তার ১০৩ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি করে চার-ছয়ের মার। ম্যাচের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে পারটেক্সের জয় নিশ্চিত করেন ৩ বলে ১ রান করা গাফফার। এ ছাড়া আদিল ৩২ ও তানভীর হোসেন ২৫ রান করেন। অগ্রণীর আরিফ আহমেদ ও নাঈম হাসান দুটি করে উইকেট পান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২১৮ রানে অলআউট হয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। ৮৭ বলে ৫টি চারে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। ২৪ বলে ২৭ রান করেন শুভাগত হোম। শেষে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান রানা। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৩৩ বলে ১৯ রান করেন। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। ২ উইকেট করে নেন মোহর শেখ, আলাউদ্দিন বাবু ও জাওয়াদ রোহান।