সাদমান-সোহানের সেঞ্চুরির দিন

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম রাউন্ডেও বড় রান হয়নি মিরপুরে। ১৯ উইকেট হারানোর দিনে রবিবার গুলশান ক্রিকেট ক্লাব সহজেই হারিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিকেএসপিতে বাকি দুই খেলায়ও জমাট লড়াই হয়নি। আড়াইশ ছাড়ানো লক্ষ্যে সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব পেয়েছে সহজ জয়। নুরুল হাসান সোহানের দাপুটে শতকে শাইনপুকুরকে সহজে হারিয়েছে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।

সোহানের শতক রাঙা দিন

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দলের বিপর্যয় সামাল দিয়েছেন। নুরুল হাসান সোহান দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে পথও দেখিয়েছেন। ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩১ বলে খেলেছেন অপরাজিত ১৩২ রানের ইনিংস। সোহানের এমন ইনিংসেই ২৭৭ রানের পুঁজি পায় ধানমন্ডি। 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে তিনশর কাছাকাছি রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শাইনপুকুর। রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদিন ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেনি। পেসার রাব্বির তিনটি ও স্পিনার সানজামুলের চার উইকেটে শাইনপুকুর গুটিয়ে গেছে ১৮০ রানে। ডিপিএলের পঞ্চম রাউন্ডে শাইনপুকুরকে ৯৭ রানে হারিয়েছে ধানমন্ডি। 

এদিন শুরুটা ভালো হয়নি ধানমন্ডিরও। দ্রুত ফেরেন জাকিরুল। ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও ইয়াসির আলী রাব্বিও আউট হয়েছেন পাওয়ার প্লে শেষের আগেই। হাবিবুর রহমান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও থামেন ৪৫ রানে। ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ধানমন্ডি। সানজামুলকে নিয়ে সেই বিপদ সামাল দেন সোহান। ধানমন্ডিকে বড় পুঁজি এনে দিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে সোহান থামেন ১৩২ রানে। বোলিংয়ে বাকি কাজ সেরেছেন সানজামুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

মিরপুরে ম্যাড়মেড়ে লড়াই

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে পেরে ওঠেনি পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। গুলশান শুরুতে চাপে পড়লেও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। তিনে নেমে লিটন দাস ফেরেন মাত্র ২২ রানে। ফিফটি করেন আজিজুল তামিম (৬২)। এছাড়া ইফতেখার হোসেনের ৩২ এবং নাঈম ইসলামের ২৭ রান ছাড়া অবশ্য কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। গুলশান ৯ উইকেটে ২২১ রান সংগ্রহ আনে। পারটেক্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন তৌফিক আহমেদ।

জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে পারটেক্স। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারানো দল ১০০ রান তুলতেই হারায় ৬ ব্যাটারকে। নিহাদুজ্জামান-নাইম ইসলামদের দুমুখি চাপে দেড়শ ছাড়িয়ে থামে সাব্বির রহমানের দল। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মিডলে নামা রবিউল ইসলাম। ২৯ রান করেন ওপেনার জয়রাজ শেক। শেষদিকে টেলএন্ডারের ব্যাটে স্রেফ হারের ব্যবধান কমে পারটেক্সের। ২২১ রানের লক্ষ্যে পারটেক্স থামে ১৬৪ রানে।

সাদমানের ব্যাটে অগ্রণীর হ্যাটট্রিক

দুই ফিফটিতে আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ তুলেছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। তবে ২৬০ রানের সেই পুঁজিতেও হেসেখেলে জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক। সাদমান ইসলামের অপরাজিত সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলেছে অগ্রণী। এটি তাদের টানা তিনটি ম্যাচে জয়। টেবিলের চারে আছে ইমরুলের দলটি।

এদিন বিকেএসপিতে ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারালেও রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ঠিকই পথ দেখিয়েছিল অমিত ও আসাদুল্লার জুটি। দুজনের জুটিতে বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখে রূপগঞ্জ। হাফ সেঞ্চুরি করা আসাদুল্লা ফিরলেও রূপগঞ্জকে টানছিলেন অমিত। সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকলেও ৮১ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় তাকে। অমিতের আক্ষেপের দিনে ২৬০ রানে থামে রূপগঞ্জ।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের ভিত গড়ে দেন সাদমান ইসলাম। ২০১৮ সালের পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পাওয়া সেঞ্চুরিতে বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে। ৬২ রান করেছেন ইমরুল। তাতেই বড় লক্ষ্য চলে আসে অগ্রণীর হাতের কাছে। পাঁচ ম্যাচ খেলেও ডিপিএলে এখনও জয়ের দেখা পায়নি রূপগঞ্জ।