ডিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৩ এএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫ ০১:৫৫ এএম
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মোহামেডানকে জিতিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ; ছবি: আ. ই. আলীম
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি কোনো ব্যাটসম্যান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রায় সাত বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটানোর সম্ভাবনা জাগিয়েও মাত্র ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মুমিনুল হক। এ ছাড়া পঞ্চাশ ছুঁতে পারেন শুধু তাওহিদ হৃদয়, মোহাম্মদ মিঠুন ও মাইশুকুর রহমান। বোলারদের দাপটের দিনে ৪টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়া দারুণ বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, নাহিদুল ইসলামরা।
টানা চার জয়ে শীর্ষে আবাহনী
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮০ রানে জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। তাদের দেওয়া ৩১১ রানের লক্ষ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রানের বেশি করতে পারেনি ব্রাদার্স। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কছে হেরে যাত্রা শুরু করা আবাহনীর এটি টানা চতুর্থ জয়। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেছে তারা। পাঁচ ম্যাচে ব্রাদার্সের জয় স্রেফ একটি।
আবাহনীকে তিনশ ছাড়ানো পুঁজি আনতে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল। ৭ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন ৩৩ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান। ২০১৮ সালের পর লিস্ট ‘এ’তে সেঞ্চুরি নেই মুমিনুলের। প্রায় সাত বছরের অপেক্ষা দূর করার আশা জাগালেও ৮ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। সেঞ্চুরি না পেলেও আবাহনীকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন মুমিনুল। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৭১ রান করেন মিঠুন।
শেষদিকের ব্যাটাররা কার্যকর ইনিংস খেলে দলকে তিনশ পার করান। বড় লক্ষ্যে জয়ের কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি ব্রাদার্স। অধিনায়ক মাইশুকুর ৮৪ রানের ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
হৃদয়ের ফিফটির পর মিরাজের ৪ উইকেট
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসেছিল কাগজে-কলমে লিগের শক্তিশালী দুই দলের ম্যাচ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তেমন লড়াই করতে পারেনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তাদেরকে ৯৪ রানে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের মোহামেডান। ২৫৪ রানের লক্ষ্যে ১৫৯ রানে গুটিয়ে যায় তারকাঠাসা রূপগঞ্জ। পাঁচ ম্যাচে তাদের এটি দ্বিতীয় পরাজয়।
টস হেরে ইতিবাচক শুরু করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার তামিম ও রনি তালুকদার। ২৮ রান করে ফেরেন তামিম। রনি করেন ৩৬ রান। তিনে ৪২ রান করেন মাহিদুল ইসলাম। ম্যাচের একমাত্র পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলেন তাওহিদ। ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। রূপগঞ্জের পেসার শরিফুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট।
রান তাড়ায় নিয়মিত উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। মাত্র ৫৭ রানে ৬ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় তারা। সপ্তম উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন জাকের আলি ও শেখ মেহেদি হাসান। ২৫ রান করে আউট হন জাকের। মেহেদির ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ৯.২ ওভারে ৩ মেডেনসহ ৩৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর আগে ব্যাট হাতেও ২৫ রান করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে তাসকিন আহমেদের শিকার ৩ উইকেট।
গাজী গ্রুপের টানা চতুর্থ জয়
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৯৪ রানে হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। মাত্র ১৮৩ রানের পুঁজি নিয়ে প্রাইম ব্যাংককে ৮৯ রানে গুটিয়ে দেয় এনামুল হকের নেতৃত্বাধীন দল।
মিরপুরে ৪২২ রানের ইতিহাস গড়ার পর দুই ম্যাচ মিলিয়ে আড়াইশও করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। পাঁচ ম্যাচে তাদের এটি তৃতীয় পরাজয়। হার দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতল গাজী গ্রুপ।
ছোট রানের ম্যাচে দুই দলের কেউ পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি। এনামুলের ব্যাট থেকে আসে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম ও আরাফাত সানি। রান তাড়ায় প্রথম বলেই বড় শটের খোঁজে আউট হন সাব্বির হোসেন। পঞ্চম ওভারে জাকির হাসান রান আউট হলে আরও বাড়ে প্রাইম ব্যাংকের বিপদ। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। আট নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ২১ রান করেন রিশাদ হোসেন। মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট নেন গাজী গ্রুপের আবু হাশিম।