বিপিএল
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫ ০২:৫২ এএম
পারিশ্রমিকের ১ টাকাও না পাওয়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন চিটাগং কিংসের ক্যাম্প ছেড়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। বেশ আলোচনার জন্ম দিয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার পরবর্তীতে চিটাগংয়ের সঙ্গে আবারও যোগ দেওয়ায় পেয়েছিলেন পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ। বিপিএল শেষ হওয়ার মাস দুয়েক পেরিয়ে গেলেও বাকি ৫০ শতাংশ বুঝে পাননি তিনি। ইমনের পাশাপাশি বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামসহ চিটাগংয়ের আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই পারিশ্রমিকের পুরো টাকা বুঝে পাননি। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই তুলেছেন ২২ বর্ষী এই ওপেনার।
বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৫০ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন আরও ২৫ শতাংশ এবং বাকি ২৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে টুর্নামেন্ট শেষে। এমন নিয়ম থাকলেও চিটাগংয়ের হয়ে ফাইনাল খেলা শরিফুল, ইমনরা এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন। গণমাধ্যমকে ইমন বলেন, ‘৫০ শতাংশ পেয়েছি, বাকিটা এখনও পাইনি। বলতেছে দেবে দেবে, আমরা এখনও পাচ্ছি না। আমি, শরিফুল, আসলে সব খেলোয়াড়ই... যা পেয়েছি বিপিএল চলাকালীনই পেয়েছি।’
বিপিএলের পাওনার চিন্তা মাথায় নিয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গত আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলছেন ইমন। জাতীয় দলের রাডারে থাকা এই ব্যাটার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরতে চান। তাই ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলায় মূল লক্ষ্য তার। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীন পারিশ্রমিক নিয়ে চিন্তা করলে তা পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটে বলে জানান বাঁহাতি এই ব্যাটার, ‘আসলে সবসময় আমাদের মনোযোগ থাকে পারফরম্যান্সের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা থাকে আরও কীভাবে পারফর্ম করব। আমাদের তখন যদি চিন্তা করতে হয় পারিশ্রমিক নিয়ে যে পাচ্ছি না। এটা আসলে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়।’
এদিকে ক্রিকেটারদের মতো শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আনা শহীদ আফ্রিদির সঙ্গেও পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা পাকিয়েছে চিটাগং। বিপিএলের সবশেষ আসরে মাঠের বাইরে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মাঠে বসে ম্যাচ দেখেছেন তিনি। আফ্রিদির সঙ্গে ১ লাখ ডলার চুক্তি করলেও পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি। মাত্র ১৯ হাজার ডলার দেওয়ার পর বাকিটা পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে চিঠিও লিখেছেন আফ্রিদি। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ কদিন আগে জানিয়েছেন, এটার দায়ভার তারা নেবেন না। ফারুক বলেন, ‘বোর্ডের দিক থেকে আমরা কোনোভাবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে ড্রাফটের খেলোয়াড়দের চুক্তিতে বোর্ডের সংশ্লিষ্টতা থাকে। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কোন দল কাকে কীভাবে আনছে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার।’