প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৫ ২০:৩৮ পিএম
মিরপুরে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ; ছবি : আ. ই. আলীম
সততার শপথ পাঠসহ বর্ণিল আয়োজনে উদ্বোধন করা হয়েছে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং ক্রিকেট লিগের। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের বিভিন্ন দলের ৬০ ক্রিকেটারকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এ সময় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী, বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাবিবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই লিগ থেকে নতুন প্রতিভা তুলে আনার কথা বলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, ‘এখান থেকে কিছু সহজাত প্রতিভা উঠে আসবে। সবসময় যে এখান থেকে ক্রিকেটার পাব, তা জরুরি নয়। তবে আমরা তো ট্যালেন্ট হান্টিং করতাম আগে, ওই ট্যালেন্ট হান্টিংয়ের মতো ব্যাপার হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা প্রতিভাবান থাকবে, আমাদের লোকজন খেলা দেখবে, তারা প্রতিভাবান ছেলেদের খুঁজে বের করবে। সংখ্যায় যতই হোক, পরবর্তীতে তাদের যেন আমরা পরিচর্যা করতে পারি। সহজাত প্রতিভা বের করার জন্য এই ধরনের টুর্নামেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ’।
একসময় বাংলাদেশের ক্লাব ক্রিকেটে নতুন প্রতিভা
উঠে আসার বড় উৎস ছিল এই তৃতীয় বিভাগ বাছাই। তবে ২০১৪-১৫ মৌসুমে থেমে যায় এই ‘ট্যালেন্ট
হান্ট’। এই লিগে খেলার ফি ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ওই বছর থেকে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে
তৎকালীন ক্রিকেট বোর্ড। একই সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকাও বাধ্যতামূলক করা
হয়। এসব কারণে ক্রমেই দল কমতে থাকে লিগে। এমনকি স্রেফ দুটি দলের অংশগ্রহণের ঘটনা আছে।
গত কয়েক বছরে পাঁচটি দলের বেশি অংশ নেয়নি এই লিগে। এসব নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন
বোর্ডকে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল।
তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত আগস্টে
বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর ফারুক বলেছিলেন, তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ পুনরুজ্জীবিত করতে
চান তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় এন্ট্রি ফি কমিয়ে করা হয় ১ লাখ টাকা। একই সঙ্গে উঠিয়ে দেওয়া
হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকার বাধ্যবাধকতা।
নিয়ম শিথিল হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তৃতীয় বিভাগ লিগে ৯২টি দল নাম লেখায়। শেষ পর্যন্ত এন্ট্রি ফি জমা দেয় ৬২টি দল। সেখান থেকে ৬০টি দল চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল নিয়ে ১২টি গ্রুপ করা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে ৪টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে একেক দল। পরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা পাবে সুপার লিগের টিকিট।
সুপার লিগের ১২ দলকে আবার ভাগ কর হবে দুই গ্রুপে।
যেখানে একেকটি দল খেলবে ৫টি করে ম্যাচ। দুই গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল পাবে তৃতীয় বিভাগে
লিগে খেলার টিকিট। সোমবার থেকে মাঠে গড়াবে বাছাই লিগ। চলতি মাসে হবে প্রথম রাউন্ডের
প্রথম ছয় গ্রুপের খেলা। আগামী মাসে বাকি ছয় গ্রুপের খেলা হবে।
ম্যাচগুলো হবে পঞ্চাশ ওভারের। তবে খেলা হবে লাল
বলে, সাদা পোশাকে। সাতটি ভিন্ন মাঠে হবে খেলাগুলোÑ সিটি ক্লাব, পিকেএসপি (পুবেরগাঁও
ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) ১ ও ২, শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, তেঘরিয়া স্টেডিয়াম,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ, মাস্কো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমি মাঠ।